জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে নিয়ে গেছে ডিবি

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে নিয়ে গেছে ডিবি

ঢাকা, ৬ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-সম্পর্কিত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) আবদুল বাতেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

রবিবার দিবাগত রাতে ধানমণ্ডির বাসা থেকে শহিদুলকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ। রেহনুমা বলেন, গতকাল ধানমণ্ডির ৯/এ সড়কের বাসার চারতলা থেকে শহিদুলকে ধরে নিয়ে গেছে ডিবি পরিচয় দেওয়া একদল লোক।

শহিদুলের সহকর্মী এ এস এম রেজাউর রহমান বলেন, শহিদুল যে বাসায় থাকেন, তার নিচতলার নিরাপত্তাকর্মী মো. জালাল তাকে বলেছেন, সাড়ে আটটার দিকে ১৫টির মতো গাড়ি বাসার আশপাশে এসে দাঁড়ায়। তখন পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল, তাই জালাল ভেবেছিলেন, এসব গাড়ি সেখানেই এসেছে। একটু পরে গাড়িগুলো থেকে লোকজন নেমে জালালকে ফটক খুলতে বাধ্য করেন। বাড়িটির গাড়ি বারান্দায় তারা জোর করে একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস ঢুকিয়ে দেন। জালালকে আটকে রাখা হয়। তখন জালাল অনুপ্রবেশকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের ‘ডিবি’ বলে দাবি করেন এবং তাদের কোথাও ঢুকতে বাধা দিলে সমস্যা হবে বলেও জালালকে সতর্ক করেন। এরপর লোকগুলো সিঁড়ি দিয়ে চারতলায় উঠে যান।

বাসায় শহিদুল একাই ছিলেন, স্ত্রী রেহনুমা তিনতলায় এক সহকর্মীর বাসায় দাওয়াতে গিয়েছিলেন। ওই বাসায় শহিদুলেরও দাওয়াত ছিল, তিনি স্ত্রীকে রেখে কিছু আগে নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকেন। সেখান থেকেই লোকগুলো শহিদুলকে নিয়ে লিফট দিয়ে নিচে নামেন। এ সময় শহিদুলের চিৎকার শুনে রেহনুমাও তিনতলার বাসা থেকে বের হয়ে আসেন। তবে নামতে নামতে শহিদুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান লোকগুলো। গাড়িটির গায়ে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স লেখা ছিল। তাঁরা বাড়ির সিসি ক্যামেরা অচল করে দেন। ক্যামেরার ফুটেজ যেখানে সংরক্ষণ করা হয়, সেই ডিভিআর বক্সও নিয়ে যান।

শহিদুলের স্ত্রী রেহনুমা জানান, তারা ধানমণ্ডি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল দেখে গেছে। তিনি জানান, চলমান ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে শহিদুল সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন।

এদিকে, গতকাল রাতে ইউটিউবার সালমান মুক্তাদীরকে তেজগাঁওয়ের একটি টিভি চ্যানেলের কার্যালয় থেকে একদল লোক ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২৩২ঘ)