শরীয়তপুরে সাংবাদিকের ওপর আ.লীগের হামলা, হাসপাতালে ভর্তি

শরীয়তপুরে সাংবাদিকের ওপর আ.লীগের হামলা, হাসপাতালে ভর্তি

শরীয়তপুর, ৩১ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আলমগীর হোসেন আলম নামে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়েছে। আহত আলমগীর হোসেন মানবজমিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার মুখমন্ডল আঘাতে মারাত্মক জখম হয়।

পুনরায় হামলার ভয়ে শুক্রবার সকালে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোকলেছ ব্যাপারীকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১০ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন সাংবাদিক আলমগীর হোসেন আলম।

নড়িয়া থানা ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় নড়িয়া উপজেলা সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাদশা শেখ ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোকলেছ ব্যাপারীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের প্রস্তুতি হয়। তখন উপজেলা সদরের বাজারে দু’পক্ষের সমর্থকরা দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। মহড়ার এক পক্ষের ছবি তোলার অপরাধে সাংবাদিক আলমগীর হোসেন আলমের উপর হামলা করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা মোকলেছ ব্যাপারীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আলমগীর। এতে তিনি মুখমন্ডলে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার মুখমন্ডলে আঘাতের স্থানে চারটি শেলাই দেয়া হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা একটি মুঠোফোন ও ২৪ হাজার ৫০০ টাকাও ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সাংবাদিক আলমগীর হোসেন জানান, সন্ধ্যা থেকে উপজেলা সদরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রাত নয়টার দিকে পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোকলেছ ব্যাপারীর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা দেশি অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নড়িয়া পূর্ব বাজারে মহরা দিচ্ছিল। তখন দূর থেকে আমি ছবি তুলছিলাম। ছবি তোলা শেষ করে কার্যালয়ে প্রবেশ করার সাথে সাথে মোকলেছ ব্যাপারীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী আমাকে মারধর করে।

নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল ব্যাপারী এ বিষয়ে বলেন, বাদশা শেখ ও মোকলেছ ব্যাপারীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আমরা দু’পক্ষকেই শান্ত থাকতে বলছিলাম। গতরাতে কিছু লোকজন সাংবাদিক আলমীর হোসেনের উপর হামলা চালায়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কিন্তু এ হামলায় মোকলেছ ব্যাপারী জড়িত নন।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসলাম উদ্দিন বলেন, নড়িয়ার একজন সাংবাদিকের উপর হামলা হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগের নেতাকে আটক করা হয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় একটি মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৫৪০ঘ.)