স্বাগত ২০১৮

স্বাগত ২০১৮

ঢাকা, ১ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : স্বাগত নতুন বছর। স্বাগত ২০১৮। গতকালের সূর্যাস্তের সাথে সাথে বিদায় নিয়েছে আরো একটি বছর। রাত ১২টার পর থেকেই বিশ্ব মেতে ওঠে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আনন্দে। আজ ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন দিনের স্বপ্ন। আমাদের জাতীয় জীবনের এক অস্থির সময়কালে নতুন বছরের আগমন ঘটল। সময় এবং মানুষের জীবন অবিচ্ছেদ্য। কালের যে স্রোত বইছে তা আমাদের জীবনেরই অংশ। আমাদের প্রতিটি অনুভবে, যা আমরা ভাবি তা আমাদের সময় চিন্তারই প্রতিধ্বনি।

গতকালই বিদায় নিল ২০১৭। সঙ্গে বিদায় নিয়েছে দুঃখ, কষ্ট আর স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার সময়গুলো। গত বছর অর্জনের ঝুলিটাও নিশ্চয়ই কম নয়। ওই সফলতার স্মৃতি থাকবে প্রেরণা হয়ে। যারা না ফেরার দেশে চলে গেছেন তাদের শূন্যতাও বার বার ফিরে আসবে। দুঃস্বপ্নকে ভুলে নতুন করে বুক বাঁধার এটাই সেরা সময়। সেরা অর্জনকে শ্রেষ্ঠত্বে রূপ দেওয়ার এটাই সময়। নতুন বছর এ কারণেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

বাংলাদেশে ইংরেজি নববর্ষের আয়োজন আসে ভিন্ন আমেজ নিয়ে। জানুয়ারি মানেই শীতের পিঠাপুলির আয়োজন। গ্রামের পথ ধরে আসে হরেক রকমের শীতের সবজি। ঘরে ঘরে বাহারি নকশীকাঁথার বিলাসিতা। বাংলাদেশে নতুন বছর মানেই শীতের সকালে কুয়াশা ভেদ করে আসার নরম রোদ। শিশুর হাসির মতই নিষ্পাপ সেই রোদের তাপ। নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ভাবার এরচেয়ে সেরা সময় আর কীইবা হতে পারে?

বাংলাদেশে ইংরেজি নববর্ষ মানেই স্কুলে নতুন বইয়ের গন্ধ। নতুন ক্লাসে উঠার আনন্দ। নব উদ্যমে নিজের পড়াশোনা গোছানোর প্রেরণা। নতুন বছরে শিশু-কিশোরদের হাতে আসবে নতুন বই। আবারো মেতে উঠা নতুন বইয়ের পাতায় পাতায়। গ্রামবাংলায় থাকবে নানা খেলার আয়োজন, নানা ধরনের মেলার আসর।

এদিকে নববর্ষ ২০১৮ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন- রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

অপরদিকে, নববর্ষ উদযাপন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশ বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে নির্দেশ জারি করেছে। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/২৩১৭ঘ.)