আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্যের জমি নিয়ে সংঘর্ষ, ৩ জন আহত

আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্যের জমি নিয়ে সংঘর্ষ, ৩ জন আহত

সাভার, ৪ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : সাভারের আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মালিকানাধীন বিরোধপূর্ণ জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠির আঘাতে উভয় পক্ষের তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।

রবিবার বিকালে মির্জানগরের এলাকায় অবস্থিত পিএইচএ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুই পক্ষই মামলার প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছে।

বিকালে পিএইচএ ভবন এলাকায় সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে বিরোধপূর্ণ জমির কয়েক জন দাবিদার। সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে গণস্বাস্থ্যের কর্মচারী ও বহিরাগতরা পিএইচএ ভবনের ভেতর থেকে লাঠি-সোঠা নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় দুই পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে প্রতিপক্ষের ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে আহতদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু তাহের জানান, সম্প্রতি গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টের পিএইচএ ভবনের জমির মালিকানা দাবি করে কটন ক্রাফটস লিমিটেডের লোকজন অনুপ্রবেশ করে। পরে তারা বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দ্বারা পিএইচএ ভবনে ভাঙচুর চালায় ও ছাত্রী হোস্টেলের শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করে। এতে প্রতিবাদ করায় র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমনকে মারধর করে তার হাত ভেঙে ফেলা হয়। আজ বিকেলে পিএইচএ ভবনে আবারো হামলা চালালে গণস্বাস্থ্যের কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা তা প্রতিহত করে।

সংবাদ সম্মেলন আহ্বানকারী মোহাম্মদ আলী, নায়েব আলী, আমিনুল ইসলাম, লুৎফর রহমান, চিকিৎসক জাহানারা ফেরদৌস খান ও নাসির উদ্দিনের অভিযোগ, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টের নামে জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘ দিন যাবৎ তাদের কারও পৈতৃক, আবার কারও কেনা সম্পত্তি অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি তারা নিজেদের জমি দখলে নিয়ে স্থাপনা তৈরি করতে গেলে জাফরুল্লাহ মামলা দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাসুদ বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবন এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাটি জানা নেই। তবে এব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়া জাফরুল্লাহ চৌধুীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি জমি দখল, মাছ চুরিসহ পাঁচটিরও বেশি মামলা হয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতার অভিযোগ, তিনি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে তাকে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৯৪১ঘ.)