সব দল রাজি না থাকলে ইভিএম নয়: শামসুল হুদা

সব দল রাজি না থাকলে ইভিএম নয়: শামসুল হুদা

ঢাকা, ১০ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : জাতীয় নির্বাচনে সব দল রাজি না হলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মনে করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা।

শনিবার ‘জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন এ টি এম শামসুল হুদা। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

সেমিনারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকার যে তড়িঘড়ি করছে তা মোটেও জনগণের কাছে বোধগম্য নয়।’

সুজন আয়োজিত এ সেমিনারে অংশ নেয় সারা দেশ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী। বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড ছাড়াও যেখানে আলোচনা হয় জাতীয় নির্বাচনকে নিয়ে। এ সময় সাবেক সিইসি ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।

সাবেক সিইসি ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ‘মদ্দা কথা হচ্ছে, যে আপনি একটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চান সব দলের অংশগ্রহণে। তো সেখানে সকল দল যদি এটা করতে রাজি না হয়, এ রকম বিষয় তো করা উচিত নয়।’

সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক দল অন্যান্য অংশীজনকে ডেকে এটা প্রমাণ করানো। কিন্তু এগুলো কিছুই করে না। আর বিশেষজ্ঞরা বলে, এই জিনিস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে, রাজনৈতিক ঐকমত্য সৃষ্টি করতে বছরের পর বছর লেগে যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কেন এত তড়িঘড়ি করে? কার স্বার্থে?’

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, ‘সংসদের মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি করে ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন না করে সরকার চাইলে তা সময় আরো বাড়াতে পারত।’

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮১০ঘ.)