শুনানিতে আইনজীবী

খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টে হাজির করে শারীরিক অবস্থা দেখুন

খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টে হাজির করে শারীরিক অবস্থা দেখুন

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেয়ার বৈধতা প্রশ্নে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে।

শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়াকে গুরুতর অসুস্থ উল্লেখ করে তাকে আদালতে হাজির করে শারীরিক অবস্থা দেখার জন্য মৌখিক আর্জি জানান তার আইনজীবী এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে এ বিয়য়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী ও এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাদের সহায়তা করেন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার নওশাদ জমির।

উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন ও ব্যারিস্টার একে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

শুনানিতে এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বিএসএমএমইউতে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষ না করে কারাগারে পাঠানো তার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। উনার সুচিকিৎসার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলা অবস্থায় কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষ না করে মামলার কথা বলে কারাগারে নেয়া হয়েছে। তিনি খুবই অসুস্থ। এ অবস্থায় বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন।

বেগম খালেদা জিয়াকে গুরুতর অসুস্থ উল্লেখ করে এম মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতে বলেন, তাকে আদালতে হাজির করে শারীরিক অবস্থা দেখুন। তবেই বুঝা যাবে তার শারীরিক অবস্থা কেমন।

এ সময় অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বেগম খালেদা জিয়াকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এ আবেদনের বিরোধিতা করেন। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন আদালত।

ব্যারিস্টার নওশাদ জমির সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতে বলেছি বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শেষ না করে মামলার কথা বলে কারাগারে নেয়া হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে ১৫ নভেম্বর আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

গত ১১ নভেম্বর আইনজীবী নওশাদ জমির বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট দায়ের করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ ৯ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশনা চেয়ে এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার করা রিট আবেদনটি গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে কিছু নির্দেশনা ও পর্যবেক্ষণসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশের পর চিকিৎসার জন্য ৬ অক্টোবর তাকে বিএসএমএমইউতে নেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে প্রায় একমাস চিকিৎসার পর গত ৮ নভেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে তাকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। এখন তিনি সেখানেই আছেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৮৫৫ঘ.)