বাংলাদেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: কবিতা খানম

বাংলাদেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: কবিতা খানম

ঢাকা, ১৬ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, ‘আমরা চাই না, এমন কোনো নির্বাচন এই জনগণকে উপহার দিতে, জনগণকে সব সময় আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু হানড্রেড পারসেন্ট (শতভাগ) নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এটা পৃথিবীর কোনো দেশেই হয় না। আমাদের দেশেও হবে না। সুতরাং আমরা বলতে চাই, একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে। যেটা প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থাকবে।’

শুক্রবার সকালে কমিশন সচিবালয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ধারাবাহিক ব্রিফিংয়ের অংশ হিসেবে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।

নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কোনো রকমের গাফিলতি সহ্য করা হবে না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্বাচনের দিনগুলোতে সামগ্রিক আইনের শাসন যেন সমুন্নত থাকে, সে ব্যাপারে জোর দেন কবিতা খানম। তিনি বলেন, ‘আচরণবিধি মানাই কিন্তু সবচেয়ে বড় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই জায়গাটায় যদি আপনি আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে না পারেন, একটা ছোট্ট বিচ্যুতিও মহাবিপর্যয় ঘটিয়ে ফেলতে পারে। তিন মাসের কর্মকাণ্ড আপনাদের চাকরি জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে।’

‘সুতরাং আমি বলব, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, সাহসের সঙ্গে, সততার সঙ্গে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন। দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। হাওয়াটা যেন কোনো রকমেই বৈরী না হয়,’ বলেন কবিতা খানম।

সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে তুলে আনা অনেক কঠিন কাজ। সবার সঙ্গে সদাচরণ করে, সৎ ব্যবহার করে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার দায়িত্ব শুধু নির্বাচন কমিশনের নয়, এটা সবার দায়িত্ব। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সবার জীবনে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার এ সুযোগ নাও আসতে পারে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে, এটা ফিক্সড। এই নির্বাচন হবে সব দলের অংশগ্রহণে। তাই নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আপনারাও আপনাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করবেন।’

ইসি সচিব আরো বলেন, ‘দেশের অনেক জায়গায় এখনো ব্যানার, পোস্টার নামানো হয়নি। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে যাতে এগুলো নামিয়ে ফেলা হয় এবং মনোনয়নপ্রাপ্তরা যাতে ব্যানার, পোস্টার লাগানোর সুযোগ পান।’

(জাস্ট নিউজ/একে/১৪৪০ঘ.)