‘সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্র আছে, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার প্রয়োজন নাও হতে পারে’

‘সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্র আছে, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার প্রয়োজন নাও হতে পারে’

বরিশাল, ২৩ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সেনাবাহিনীর কাছে অস্ত্র আছে, তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে। সেনাবাহিনীর কাছে নির্বাচন কমিশন যে কাজটা চাচ্ছে, বিদ্যমান আইনেই যদি সেটা সম্ভব হয় তাহলে সেটাই শ্রেয় এবং সেটাই হয়ে আসছে।

বরিশালে আসন্ন নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ বিষয়ক দুই দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্ধোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আরো কয়েক দিন গেলে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে।

বিরোধীজোটের প্রশাসনে রদবদল দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে নির্বাচন কমিশন অবশ্যই তা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হলে সেই দায় কি নির্বাচন কমিশন না সরকারের?

এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাদাৎ হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইবে না নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক। কমিশন কোনো দায় নিতে চাইবে না। নির্বাচন কমিশন সকলের সহযোগিতায় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন উপহার দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বা অনিয়ম হবে না নির্বাচন কমিশন কি এমন কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারে?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক আইনানুগ নির্বাচন করার জন্য যত রকমের নির্বাচনী আইন আছে, তার সর্বাধিক ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে কোন অনিয়ম যাতে না হয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা নির্বাচন কমিশন করবে বলেও সাংবাদিকদের বলেন তিনি।

বিরোধীজোটের ইতিবাচক সমালোচনা নির্বাচন কমিশন সাদরে গ্রহণ করবে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, কমিশনের যদি কোনো ভুল-ত্রুটি থেকে থাকে, তাহলে তাদের আলোচনা-সমালোচনার মাধ্যমে কমিশন সেটা শোধরাতে চায়।

তাদের সমালোচনা সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে বরিশাল নগরীর বিডিএস হল রুমে জেন্ডার বিষয়ক এক কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বলেন, নারীরাও যাতে নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার সকল ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

তিনি নির্বাচনে নারী প্রার্থী এবং ভোটারদের আরো উপস্থিতি কামনা করেন। নির্বাচনে নারীদের আরো উপস্থিতির জন্য তাদের (নারী) নিরাপত্তার বিষয়টি কমিশন গুরুত্বের সাথে দেখছে বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন নির্বাচন কমিশনার।

ইউএনডিপি এবং ইউএন ওমেনের সহযোগিতায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুস আলীর সভাপতিত্বে দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-প্রধান সাইফুল হক চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব সাহেদুন্নবী চৌধুরী এবং ইউএনডিপি ইউএন ওমেন-এর জেন্ডার বিশেষজ্ঞ এটসুকো হিরাকাওয়া।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮২৩ঘ.)