ঢাকা, ২৪ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : নিখোঁজ সেই পিএইচডি গবেষক এনামুল হককে গ্রেফতার দেখালো র্যাব। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের আদলে ওয়েবসাইট তৈরি করে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
তিনি দক্ষিন কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষক। র্যাব জানায়, শনিবার দুপুরে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরআগে বুধবার রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে ‘অপহরণ’র শিকার হয়েছিলেন এনামুল। তাকে ফিরে পেতে অপহরণকারী চক্রকে ১ লাখ টাকাও দিয়েছিলো পরিবারের সদস্যরা।
র্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, শনিবার দুপুরে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এনামুল দক্ষিণ কোরিয়ায় বসে বিসিসিসহ বিভিন্ন অনলাইনসহ ২২টি নিউজ পোর্টালের নকল করে পরিচালনা করতো। বেশিরভাগ সময় হুবহু কপি করে নিউজ দিলেও মাঝে-মধ্যে নিজের ইচ্ছেমতো সরকারবিরোধী লেখা সেসব সাইটে প্রচার করতো। নিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এনামুলের বড় ভাই কামরুজ্জামান মাসুদ জানান, এনামুল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বৃত্তি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কিওংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (কেএনইউ) পিএইচডি করছে। কিছু দিন আগে এনামুল দেশে বেড়াতে আসেন। গত বুধবার পাবনা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে জামালপুর শ্বশুরবাড়ি যায়। ওই দিনই ঢাকায় এসে আশকোনা এলাকায় বন্ধুর ছোট ভাইয়ের বাসায় ওঠে। বুধবার রাত ১টার ফ্লাইটে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার কোরিয়া যাওয়ার কথা ছিল। আশকোনার বাসা থেকে রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল।
এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল এনামুল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘অপহরণকারী’ পরিচয়ে ফোনে এনামুলের পরিবারের কাছে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে দেড় লাখ টাকা দাবি করা হয়। শুক্রবার সকালে পরিবার সেই নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠিয়েও দেয়। এরপরও তার খোঁজ ছিল না। পরবর্তীতে অপহরণকারী চক্রটির সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাদের সব গুলো নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে দক্ষিণখান থানায় এনামুল নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। শনিবার দুপুরের দিকে দক্ষিণখান থানা থেকে তাদেরকে জানানো হয় এনামুলকে র্যাব উদ্ধার করেছে।
(জাস্ট নিউজ/একে/২২১৫ঘ.)
