গণতন্ত্রের মুক্তিই বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষেধক

দুঃশাসন ঢাকতে ধার্মিকতার মুখোশ ব্যবহার করছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী : দ্য ইকোনমিস্ট

দুঃশাসন ঢাকতে ধার্মিকতার মুখোশ ব্যবহার করছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী : দ্য ইকোনমিস্ট

ঢাকা, ২ জুন (জাস্ট নিউজ): নিজের দুঃশাসন ঢাকতে ধার্মিকতার মুখোশ ব্যবহার করছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃটেনের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ তাদের প্রিন্ট সংস্কসরণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করেছে। জাস্ট নিউজ পাঠকদের জন্য সংক্ষিপ্তাকারে রির্পোটটির অনুবাদ তুলে ধরা হলো।

‘শেখ হাসিনা’স ব্লান্ডার: বাংলাদেশ’স প্রাইম মিনিস্টার ইউসেস পিটি টু মাস্ক মিসরোল’ শিরোনামের ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রে অনেক ক্ষত সৃষ্টি করেছেন শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকার জন্য বংশানুক্রমিক একঘেঁয়ে বিবাদে লিপ্ত রয়েছেন তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে। খালেদা জিয়ার সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হয়রানি চালানো হয়েছে।

সরকার অনুগত নয় সে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাই হোক না কেন টার্গেট করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয় । নোবেল বিজয়ী ক্ষুদ্র ঋণ অর্থনীতির প্রবক্তা মুহাম্মদ ইউনূস থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি ব্যাংকও বাদ যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর দায়ে বাংলাদেশের বৃহৎ ইসলামী দলকে (বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী) ছিন্নভিন্ন অবস্থায় ফেলে দিয়েছেন তিনি (শেখ হাসিনা)। দলটির অনেক নেতার মৃত্যুদন্ডও কার্যকর করা হয়েছে। এসব কাজের ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা সবশেষ ব্যর্থতা হলো- তিনি ইসলামপন্থী বিক্ষোভকারীদের দাবি দাওয়া মেনে নিয়েছেন আর সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চিন্তা থেকে ফিরে এসেছেন। এর ধারবাহিক রেশ কিন্তু থেমে থাকবে না।

শেখ হাসিনার ‘অসংযম’ আচরণের মতোই আধুনিকতা বাংলাদেশে বিরাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও বাংলাদেশে ৯০ শতাংশ মুসলিম, কিন্তু সংবিধান ধর্মের স্বাধীনতার নিরাপত্তা দেয়। এ দেশে শতকরা ৯ ভাগ হিন্দু। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসনে তারা অধিষ্ঠিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিষয়টি লক্ষ্য করেছে।

বাংলাদেশের ভোটাধিকার প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে মূল্যায়ন না করে, বিশেষ করে যারা স্বাধীনভাবে নিজের ভোট দেবার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের বাদ দিয়ে সরকার ধার্মিকতাকে কাজে লাগিয়ে তাদের সমর্থন পাবার চেষ্টা করছে।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে গ্রিক মূর্তি অপসারণের সমালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়, মূর্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে সুপ্রিমকোর্টের সামনে ‘বিচারের প্রতিক’ মূর্তিটি অপসারণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনার বাবা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা নিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি দল জামায়াতকে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। গণতন্ত্রের মুক্তিই বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষেধক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

(জাস্ট নিউজ/জিইউএস/১৬৫৫ঘ.)