কী কথা কূটনীতিকদের সঙ্গে নেতাদের, সবাই ‘চুপ’ কেন

কী কথা কূটনীতিকদের সঙ্গে নেতাদের, সবাই ‘চুপ’ কেন

ঢাকা, ৫ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হঠাৎই বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। বুধবার সকালে গুলশানের একটি হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

তবে, এটি ছিল পুরোপুরি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক। তাই, আগে থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কিছুই জানানো হয়নি। এমনকি বৈঠক শেষে কী আলোচনা হলো বা ফলাফল কী- তা নিয়েও মুখ খুলতে চাননি কোনো পক্ষই। কোনো কিছু বলতে চাননি কূটনীতিকরাও।

জানা গেছে, কানাডাভিত্তিক সংস্থা ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (আইআইডি) এ বৈঠকের আয়োজন করেছে। সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয়ে ১১টায় শেষ হয় বৈঠকটি।

সকালে ওই হোটেলে একে একে আসতে থাকেন ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। আসেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। এ ছাড়া সুশীল সমাজের কয়েকজন পরিচিত মুখকেও সেখানে দেখা যায়।

বৈঠক শেষে বেরুলে, কথা হয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মণির সঙ্গে। বৈঠকে কী কথা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আলোচনার যে নিয়ম, সে নিয়ম অনুযায়ী তো ওখানকার আলোচনা এখানে বলবার কথা নয়।’

এরপর কথা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এটা তো আলোচনা করার নিয়ম নেই। আমি আমার কমেন্ট বলতে পারব। কিন্তু ভিতরগত কী হয়েছে, সেটা তো বলতে পারব না। এখানে যে সমস্যা সেটা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণটা পুরোপুরি সরকারের হাতে। নির্বাচন কমিশনে হয়তো নিয়ন্ত্রণটা নেই। সুতরাং নির্বাচন কমিশন যদি নিয়ন্ত্রণটা তার হাতে নিয়ে নির্বাচন করতে চায়, তাদের সেটা ডেমন্সট্রেট করতে হবে এবং জাতিকে সেটা বিশ্বাস করতে হবে।’

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, ‘এদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, সেটা হলো একই বাদানুবাদ। অপজিশন একটা বলেছে, সরকারি দল একটা বলেছে। যে জিনিসটা উঠে আসছে, সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, যদি ঠিক না হয়, তার মানে যদি এক্সেপটেবল না হয়, বাংলাদেশের এ পর্যন্ত যে অর্জনগুলো আছে, খুব ভালো ভালো অর্জন, সেই অর্জনগুলোকে ম্লান করতে পারে।’

পরে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘ওরাও অনেক কথা বলেছে। আমরাও বলেছি। যে আমরা তো, নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পদ্ধতির উন্নতির জন্য, যা কিছু করার বাংলাদেশে একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করেছে। ওরা বলেছে যে, অসুবিধা আছে। আমরা বলেছি, তবুও অসুবিধা কাটিয়ে উঠব আমরা।’

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯০২ঘ.)