ইসি'র বিভক্ত রায় প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার আইনজীবি

মনোনয়নপত্র বৈধ বলার পর দ্বিতীয়বার রায় হয় কিভাবে?

মনোনয়নপত্র বৈধ বলার পর দ্বিতীয়বার রায় হয় কিভাবে?

ঢাকা, ৮ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ): বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের স্বচ্ছতা আর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন তাঁর আইনজীবিরা।

শনিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে চার কমিশনার খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিলের পক্ষে এবং একজন কমিশনার বৈধতার পক্ষে রায় দেন।

সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার পর বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা সাংবাদিকদের কাছে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান।

আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, শুনানি শেষে কমিশনার মাহবুব তালুকদার বিএনপি নেত্রীর তিনটি আসনেই তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে রায় দিয়েছেন। এরপর, কিভাবে দ্বিতীয়বার রায় দেওয়া হয়?

তিনি আরও বলেন, কমিশনের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন এবং মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরও কয়েকজন আইনজীবী।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার অভিযোগ ছিল- খালেদা জিয়া নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধ করেননি। শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তিনটা আপিল মঞ্জুর করেছেন। তাই খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আর কোনো আইনগত বাধা নেই।

তিনি বলেন, গত তিনদিন আমরা দেখেছি, আপিল শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কখনো সিইসি, কখনো অন্যান্য কমিশনাররা রায় ঘোষণা করেছেন। তারা কমিশনের সবার পক্ষ থেকেই রায় ঘোষণা করেছেন। সবাই ধারণা করেছিল মাহবুব তালুকদারের রায় সবার রায়। এটা সবার রায়। সেই রায়ে খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বৈধ করেছেন।

এ আইনজীবী আরও বলেন, একবার রায় ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর, দ্বিতীয়বার রায় ঘোষণার কোনো সুযোগ নাই। গত তিনদিনের আপনারা দেখেছেন, দ্বিতীয়বার রায় ঘোষণা হয়েছে? নির্বাচন কমিশনের এখানে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। মাহবুব তালুকদার সাহেব যে জাজমেন্ট দিয়েছেন, মাহবুব তালুকদারের জাজমেন্ট লিগ্যাল জাজমেন্ট, ফেয়ার জাজমেন্ট।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আইনগত এক্সামিন করে দেখবো উচ্চ আদালতে যাওয়া যায় কি-না, এ বিষয়ে কনভিন্স হলে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা বিশ্বাস করি উচ্চ আদালত তার মনোনয়নপত্র বৈধ করবেন।

অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন কোনোদিন নির্বাচনে হারেন নাই। প্রতিটি নির্বাচনে তিনি একাধিক আসনে জয় লাভ করেছেন। সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবার তাকে কারাগারে আটক রেখেছে। তারপরও তিনটি নির্বাচনী এলাকায় তার মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে।”

“আমাদের বিশ্বাস ছিলো সরকার নিরপেক্ষভাবে এই মনোনয়নপত্রগুলো গ্রহণ করবে। আগেই আপনাদের বলা হয়েছিলো- রিটার্নিং কর্মকর্তা যে রায় দিয়েছিলেন তা আইন মোতাবেক হয় নাই। তাই আমরা কমিশনে আবেদন করেছি।”

(জাস্ট নিউজ/জিএস/১৯৫০ঘ)