পুলিশ হত্যার দায়ে ২০ জনের যাবজ্জীবন

পুলিশ হত্যার দায়ে ২০ জনের যাবজ্জীবন

ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানায় জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যার দায়ে ২০ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তা দিতে ব্যর্থ হলে আরো তিন মাস কারাভোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মাহবুবুর রহমান। তিনি আরো জানান, আসামিদের অধিকাংশই পলাতক।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—জসিম শেখ (পলাতক), মাছিম শেখ (পলাতক), মজনু মাতুব্বর (পলাতক), উজ্জ্বল হাওলাদার (পলাতক), জাফর মাতুব্বর (পলাতক), কুব্বাস মাতুব্বর (পলাতক), দবির মোল্লা, দাদন ফকির (পলাতক), আমির হোসেন শেখ (পলাতক), ফয়েজ শেখ (পলাতক), দিপু ওরফে টিপু বিশ্বাস, বজলু আকন, আজাদ মোল্লা, হেমায়েত মোল্লা (পলাতক), শওকত মোল্লা ওরফে সাগু মেম্বার, মোশাররফ শেখ, আশ্রাফ শরীফ, হালিম আকন (পলাতক), মিরাজ শিকদার ও সুমন বাঘা (পলাতক)।

আইনজীবী মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ছাড়া চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মোল্লা, শাহাদত আকন, মোতালেব মাতুব্বর ওরফে মতলেব মেম্বার, মাসুদ শিকদার, হেলাল শিকদার ও আসলাম ওরফে নুরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

নথি থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবুল হাসনাইন আজম খান ও মো. কামরুল আলম খান ঠাকুর মোটরসাইকেলযোগে শাখারপাড় যাওয়ার পর আসামিরা তাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করে। তারা পুলিশ পরিচয় দিলে তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর তাদের মোটরসাইকেলসহ শ্রীনদীর দিকে নিয়ে যায়। ট্রলারে উঠিয়ে প্রথমে মোটরসাইকেল নদীতে ফেলে দেয়। এরপর প্রথমে কামরুলকে জবাই করে হত্যার পর তাঁর মাথা কেটে হাসনাইনের হাতে দেয়। এরপর লাশ টুকরা টুকরা করে কেটে নদীতে ছিটাতে ছিটাতে ট্রলারে এগিয়ে যায়। এরপর হাসনাইনকে একইভাবে হত্যা করে তাঁর লাশও টুকরা টুকরা করে নদীতে ফেলে দেয়।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৬ এপ্রিল মাদারীপুর জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ পরিদর্শক আবুল খায়ের মিয়া রাজৈর থানায় ৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালের ৬ আগস্ট মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একরাম আলী মোল্লা মাদারীপুর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০০৮ সালের ৪ মে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার শুরু হয়।

(জাস্ট নিউজ/এমজে/১৫৫০ঘ.)