ওআইসি’র সহকারী মহাসচিব পদে লড়বে বাংলাদেশ

ওআইসি’র সহকারী মহাসচিব পদে লড়বে বাংলাদেশ

ঢাকা, ৯ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : মুসলিম রাষ্ট্রের জোট ওআইসি’র সহকারী মহাসচিব পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। আগামী মে মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনকে সামনে রেখে ওই প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জেদ্দাস্থ ওআইসি সদর দপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র মতে, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)’র ৫টি সহকারী মহাসচিব পদ রয়েছে। মহাসচিবের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তার অন্যতম ওই পদে এবারে বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল আহসান। জ্যেষ্ঠ ওই কূটনীতিক কানাডা ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে কাজ করেছেন।

এ পদে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী এশিয়ার দেশ কাজাখস্তান। সূত্র বলছে, ৫৭ মুসলিম রাষ্ট্রের জোট ওআইসির অনেক সদস্যের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছে বাংলাদেশ। তারপরও কাজাখস্তানকে ‘শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী’ বিবেচনায় ভোট প্রার্থনায় আটঘাট বেঁধে নেমেছে ঢাকা। কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় দেড় যুগ পর ওআইসির গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে বাংলাদেশ লড়ছে। সর্বশেষ ২০০৩ সালে সংস্থাটির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ‘মহাসচিব’ পদে বাংলাদেশ প্রার্থী দিয়েছিল। যদিও ওই পদে মনোনয়ন পাওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিয়ে দেশের ভেতরেই প্রচণ্ড বিরোধিতা ছিল। শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রার্থী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

উল্লেখ্য, এবারে ওআইসির যে পদে বাংলাদেশ লড়ছে সেটির অবস্থান সংস্থাটির অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী দ্বিতীয় সারিতে হলেও তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সেগুনবাগিচা। কর্মকর্তারা বলছেন, ১৫ বছর আগের পরিস্থিতি আর আজকের প্রেক্ষাপট এক নয়। তাছাড়া আগে মহাসচিব পদে ঢাকার প্রার্থী লড়েছেন। এবার লড়ছেন সহকারী মহাসচিব পদে। দু’টি পদ গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর মর্যাদা এবং অবস্থানগত পার্থক্য অনেক। মহাসচিবের চেয়ে সহকারী মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা খানিকটা সহজ। সেই বিবেচনায় কর্মকর্তারা বাংলাদেশের প্রার্থীর জয় নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী। তাছাড়া, ওআইসি’র কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস- সিএফএম আয়োজনের স্বাগতিক দেশের জন্য এমন পদে প্রার্থিতা বা নির্বাচনের বাড়তি তাৎপর্য রয়েছে। এটি সুযোগও বটে। ১৯৮৩ সালের পর এবারই প্রথম বাংলাদেশ ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন (সিএফএম) আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। সেই বিবেচনায় এবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন বা সিএফএম আয়োজনের হোস্ট কান্ট্রি হিসেবেও সহকারী মহাসচিব পদে নির্বাচনে বাংলাদেশ বাড়তি সুবিধা পেতে পারে বলে আশা ঢাকার। মধপ্রাচ্য, উত্তর- পশ্চিম আফ্রিকা, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো নিয়ে গঠিত ওআইসি জোট মুসলিম বিশ্বের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখে আসছে।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১০০৫ঘ.)