মাহবুব তালুকদারের বিপরীত মেরুতে সিইসি

মাহবুব তালুকদারের বিপরীত মেরুতে সিইসি

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করাটাই কমিশনের প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক ১২ দিন আগে এসেও অংশ গ্রহণকারী প্রার্থীদের সমান সুযোগের মাঠ দেওয়া নিয়ে সয়ং নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে দ্বিমত দেখা গেছে। সর্বশেষ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা সম্পন্ন বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন।

সোমবার মাহবুব তালুকদার বলেছেন ‘আমি মনে করি না নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে কিছু আছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কথাটা এখন অর্থহীন কথায় পর্যবসিত হয়েছে।’ মঙ্গলবার সিইসি এর জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন, মাহবুব তালুকদার সত্য বলেননি। নির্বাচনের সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।

মঙ্গলবার রাঙামাটিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিন পার্বত্য জেলার আইনশৃঙ্খলা–বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। নুরুল হুদা বলেন, ‘সবাই নিজেদের মতো প্রচারণা চালাচ্ছেন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে অসুবিধা কোথায়?’

মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সমতল এলাকার মতো পাহাড়েও গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। প্রত্যক ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য অঞ্চলে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো ঝুঁকি নেই। দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থায় নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সব সদস্য ও সামগ্রী আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, দেশের অন্য এলাকার চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পূর্ণ ভিন্ন। সে জন্য এ এলাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯০০ সালে থেকে পাহাড়ের ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা, সংস্কৃতি ও ধর্ম ভিন্ন। পাহাড়ি এলাকার মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধেও অনেক অবদান রেখেছেন। এ অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত সরল।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের কোনো গোষ্ঠী বা প্রার্থীর কাছে প্রভাবিত না হওয়ার নির্দেশ দেন। প্রত্যক ভোটার তাঁর নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তারা নিরাপদে ভোট দিয়ে বাড়িতে ফিরে আসবেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, চট্টগ্রামের ডিআইজি মো. গোলাম ফারুকসহ সেনাবাহিনীর তিন পার্বত্য জেলার ব্রিগেড কমান্ডার, তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক, তিন পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার, তিন পার্বত্য জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮৩৯ঘ.)