প্রশিকার কাজী ফারুকের একমাসের কারাদণ্ড

প্রশিকার কাজী ফারুকের একমাসের কারাদণ্ড

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : আদালতের আদেশ অমান্য করায় প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক আহমদেকে এক মাসের দেওয়ানি কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান এডভোকেট এমএ ওয়াদুদের কাছে চেয়ারম্যানের কার্যালয় বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এ আদেশ প্রতিপালন করে ১৫ দিনের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট বারেক চৌধুরী, নুরুল আমীন, নুরুল ইসলাম মাতুব্বর ও মো. সোলায়মান। কাজী ফারুকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট মাহবুবে আলম (এটর্নি জেনারেল), জেড আই খান পান্না, মাহবুব আলী এমপি, এএম আমিনউদ্দিন।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও এডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন।

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৪ মে সংস্থাটির গভর্নিং বডির এক সভায় চেয়ারম্যান পদ থেকে কাজী ফারুককে অপসারণ করে এমএ ওয়াদুদকে চেয়ারম্যান করা হয়। এ সিদ্ধান্তের পরদিনই অপসারণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সহকারী জজ আদালতে মামলা করে কাজী ফারুক। একই সঙ্গে এমএ ওয়াদুদের কমিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়। এ আবেদন ওই বছরের ৩১ মে খারিজ করে দেন আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে জজ আদালতে আবেদন করেন তিনি। এ আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিলে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ওই বছরের ১১ আগস্ট রায় দেন। রায়ে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয়া হয়। রায়ে প্রশিকা ভবনে কোনো সমাবেশ বা র‌্যালি না করতে কাজী ফারুকের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়।

এ আদেশের বিরুদ্ধে কাজী ফারুক আপিল বিভাগে আবেদন করলেও আপিল বিভাগ এ আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ২০১২ সালে আবার প্রশিকা ভবনে অবস্থান নেন কাজী ফারুক। পরবর্তী সময়ে কাজী ফারুকের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি আদালত অবমাননার মামলা করেন এমএ ওয়াদুদ। কাজী ফারুকের বিরুদ্ধে প্রশিকা ভবনে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের কার্যালয় দখল করে নেয়ার অভিযোগ করা হয়। এ অবস্থায় আদালত কাজী ফারুকের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। রুলে কাজী ফারুককে কেন দেওয়ানি কারাগারে আটক রাখা হবে না এবং কেন তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর রায় দেন।

রায়ে ৭ দিনের মধ্যে এমএ ওয়াদুদকে কার্যালয় বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে কাজী ফারুককে ৭ দিনের দেওয়ানি কারাদণ্ড ও ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি এ আদেশ কার্যকর করে ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান কাজী ফারুক। আপিল বিভাগ মামলাটি পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে হাইকোর্টে শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দিয়েছেন। রায়ে কাজী ফারুককে এক মাসের দেওয়ানি কারাদণ্ড দেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১৪০ঘ.)