পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

পাবনা, ২৮ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকি দিয়ে স্কুলছাত্রীকে এক বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই ছাত্রী একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সামাদ, সমাজপতি কৃষ্ণ সূত্রধর, সুভাষ ও মহাদেব সূত্রধরের কাছে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মেন্দা পালপাড়ার।

ওই ছাত্রী ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা দিনমজুর।

অভিযোগমতে, প্রতিবেশী চৈতন্য সূত্রধরের ছেলে বখাটে কার্তিক (৩২) ওই ছাত্রীর দূর সম্পর্কের চাচা। দারিদ্র্যের সুযোগে তিনি অবাধে ছাত্রীর বাড়িতে যাতায়াত করেন। সে সুযোগে কৌশলে ছাত্রীর অজান্তে তার নগ্ন ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। পরে সেটি ইন্টারনেটে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন। এভাবে এক বছর তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন কার্তিক। একপর্যায়ে ছাত্রীটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে কার্তিক এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলে পারিবারিকভাবে বিয়ে করে ঘরে তোলার আশ্বাস দেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ছাত্রীর বাড়িতে তার সঙ্গে কার্তিককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তার (ছাত্রীর) মা। এ সময় কার্তিক পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। ভিকটিমের মা ও আত্মীয়স্বজন বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর আব্দুস সামাদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান এবং বিচার প্রার্থনা করেন। তারা কার্তিকের সঙ্গে ছাত্রীর বিয়েরও দাবি জানান। কিন্তু কার্তিকের পরিবার এতে রাজি হয়নি। উল্টো বিভিন্ন সামাজিক নিয়মের কথা বলে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে গোপনে কিছু অর্থের বিনিময়ে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন।

ছাত্রীর এক নিকটাত্মীয় জানান, তাদের যে সম্পর্ক, যদি বিয়ে না হয়, তাহলে সমাজে তারা মুখ দেখাতে পারবেন না। ছাত্রীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, এ মুখ আমি কীভাবে মানুষকে দেখাব। অন্যায় যে করেছে, সেই কার্তিক এখন আমার মেয়েকে বিয়ে করুক।

ভিকটিম সাংবাদিকদের জানায়, প্রথমে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও পরে বিয়ের কথা বলে কার্তিক তাকে এক বছর ধরে ব্যবহার করেছে। এখন বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে।

স্থানীয় সমাজপতি কৃষ্ণ সূত্রধর জানান, বিষয়টি মীমাংস করার চেষ্টা চলছে। জানতে চাইলে ৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার মো. আব্দুস সামাদ জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং মীমাংসার চেষ্টাও করেছেন, কিন্তু সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র আব্দুর রহমান জানান, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১০০২ঘ.)