আটকদের ছাড়াতে শাহবাগ থানা ঘেরাও কোটাবিরোধীদের

আটকদের ছাড়াতে শাহবাগ থানা ঘেরাও কোটাবিরোধীদের

ঢাকা, ১৪ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : আটক সহচরদের ছাড়িয়ে আনতে শাহবাগ থানা ঘেরাও করেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বৃধবার সন্ধ্যায় তারা শাহবাগের জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা কমানোর দাবিতে আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ছিল আন্দোলনকারীদের। পুলিশ সেখান থেকে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে। পরে তাদের ছাড়াতে গিয়ে ‘বাড়াবাড়ির’ অভিযোগে আরো অন্তত ৬০ জনকে আটক করা হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য স্থান থেকে শত শত শিক্ষার্থী থানা ঘেরাও করতে শাহবাগে জড়ো হন। তারা শাহবাগ মোড়ের দক্ষিণ অংশে অবস্থান নিয়েছেন।

সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক শিক্ষার্থী স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে শাহবাগে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘পুরা শাহবাগ আন্দোলনে কাঁপছে। আপনারা যে যেখানে আছেন চলে আসেন। আজ সারারাত শাহবাগ অবরুদ্ধ থাকবে। ঢাবির সব ছাত্রছাত্রী শাহবাগে। দাবি আদায় হবেই। আমার ভাইদের মুক্তি দিতে হবেই। দাবায়ে রাখতে পারবে না।’

শাহবাগ থানার একটি সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলকে থানায় ডেকে এনে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের শাহবাগ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। তারা চলে গেলে আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেয়া হবে।

তবে শিক্ষার্থীরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তারা আটক শিক্ষার্থীদের না নিয়ে ফিরবেন না।

সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ছিল তাদের।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়িআজ বুধবার সকালে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় জড়ো হন একদল শিক্ষার্থী। বেলা পৌনে ১১টার দিকে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে মিছিল নিয়ে যাত্রা করে। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্ট মোড়ে গেলে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় সেখানেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। পরে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় দুই পক্ষে বেশ কিছু সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সোহরাব, জাহির ও আরিফ নামের তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে শাহবাগ থানা থেকে তাদের ছাড়াতে গিয়ে আটক হন আরও অন্তত ৬০ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন রমনা জোনের ডিসি মারুফ সরদার।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত আছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য। এর বাইরে ১০ শতাংশ নারী কোটা, পশ্চাৎপদ জেলাগুলোর জন্য আরও ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ এবং এক শতাংশ কোটা আছে প্রতিবন্ধীদের জন্য।

এই ৫৬ শতাংশ কোটা কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে আসাসহ পাঁচ দফা দাবিতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ছিল তাদের।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১১২ঘ.)