দেশে ফিরলেন আহত রাশেদ : মেডিক্যাল বোর্ড গঠন

দেশে ফিরলেন আহত রাশেদ : মেডিক্যাল বোর্ড গঠন

ঢাকা, ১৭ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : নেপালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্তে আহত রাশেদ রুবায়েত দেশে ফিরেছেন। শনিবার শনিবার বিকেল ৩ টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে (বিজি০০৭২) দেশে আনা হয় তাকে। এ রপর বিমানবন্দর থেকে তাকে বিকেল ৪ টা ১০ মিনিটে নেয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। আহত বাংলাদেশী ১০ জনের মধ্যে এই নিয়ে তিন দফায় ৫ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো।

এদিকে দেশে আসা আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা: সামন্ত লাল সেনকে প্রধান করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে এই বোর্ড করা হয়। রোববার টিমের সদস্যরা আহতদের শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করবেন।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান। মেডিক্যাল টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগের ডা. মো. আবুল কালাম, অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন খন্দকার, অধ্যাপক এ জেড এম মুস্তাক হোসেন তুহিন, অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. মোজাফ্ফর হোসেন (অ্যানেসথেসিয়া), অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম, ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ (মেডিসিন), অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন (মেন্টাল অ্যান্ড হেলথ), ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবির, ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজি জহির উদ্দিন ও সাইক্রিয়াটিস্ট জামাল হোসেন।

ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইতিমধ্যে নেপালে চিকিৎসাধীন আহত বাংলাদেশিদের ৪ জনকে দেশে এনে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা আশঙ্কামুক্ত। তাদের চিকিৎসায় যাতে কোন ধরনের ত্রু টি না থাকে তার জন্য সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা সার্বাধনিক আহতদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে। তিনি বলেন, আহতরা প্রচন্ড ভাবে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মানসিক ভাবে সুস্থ্য করার জন্যেও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এইচ এম হেদায়েত হুসাইন, বার্ন ইউনিটের সমন্বয় ডা: সামন্ত লাল সেনসহ অন্য কর্মকর্তারা। আহতদের চিকিৎসা কক্ষে কাউকে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ না করতে বিনীত অনুরোধ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

গত ১২ মার্চ দুপুরে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মারা যান। আহত হন ১০ জন। তার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার আহত শেহরিন আহমেদকে নেপাল থেকে ঢাকা আনা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার নিয়ে আসা হয় আলিমুন্নাহার এ্যানি, তার দেবর মেহেদী হাসান এবং (মেহেদীর স্ত্রী) কামরুন্নাহাকে। একই ভাবে গত বুধবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত ডা: রেজওয়ানুল হক শাওনকে নেপাল থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। ইমরানা কবিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর অথবা ভারতে নয়া দিল্লিতে নেয়া হতে পারে। আহত অপরজন ইয়াকুবকে তাদের স্বজনদের অনুরোধে নেপালেই চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া কবির হোসেন ও শাহিন হাওলাদারকে রোববার দেশে আনা হতে পারে।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৩৪ঘ.)