বদ্ধ ঘরে মায়ের পঁচে যাওয়া লাশের পাশে শিশুটি কিভাবে এলো?

বদ্ধ ঘরে মায়ের পঁচে যাওয়া লাশের পাশে শিশুটি কিভাবে এলো?

নারায়ণগঞ্জ, ২৯ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : ঢাকার কাছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যে ঘর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই ঘরটি থেকে বুধবার বিকাল নাগাদ দুর্গন্ধ আসতে থাকে। সেইসাথে শোনা যায় শিশুর কান্নার শব্দ।

এরপর ঘরটির ভেতর থেকে মৃত নারীর লাশ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তার পাশে পাওয়া যায় দেড় বছর বয়সী একটি শিশুকে।

পুলিশ বলছে ওই নারীকে আগেই হত্যা করা হয়েছে আর বুধবারই বাচ্চাটিকে তার পাশে রেখে যাওয়া হয়ছে বলে মনে করছেন তারা।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, বাচ্চাটি তিনদিন ধরেই ওখানে ছিলো বলে তারা মনে করছেন।

এর মধ্যে ঘরটির ভেতরে থাকা মৃত নারীর এক আত্মীয়র কাছে ওই নারীর স্বামী ফোন করে জানায় যে তার স্ত্রী ঘরের দরজা খুলছেনা।

তখন খবর পেয়ে স্থানীয়রা সমবেত হয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখে, ভেতরে মৃতদেহের পাশ বসে কাঁদছে শিশুটি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক বিবিসিকে জানান এলাকার লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশের আগেই তিনি ঘটনাস্থলে যান।

এরপর তার উপস্থিতিতেই লোকজন ওই ঘরের দরজা ভেঙ্গে ফেলে। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

“দরজা ভাঙ্গার পর সেখানে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ। গায়ের কাপড় এদিক সেদিক পরে আছে। আর বাচ্চাটা মায়ের পাশে বসে আছে”।

তার মতে ওই বাচ্চাটি তিনদিন ধরেই ওখানে ছিলো।

কিন্তু মিস্টার মালেকের এ বক্তব্যের সাথে একমত নন ফতুল্লা থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজালাল।

তিনি বলেন, “ওই নারীকে তিনদিন আগেই হত্যা করা হয়েছে। তবে বাচ্চাটিকে পরে ওই নারীর পাশে রেখে অন্যদের খবর দেয়া হয়েছে”।

তার ভাষায়, একটি বাচ্চা তিনদিন ওভাবে থাকলে তার শারীরিক অবস্থা যেমন হওয়ার কথা তেমনটি তাকে উদ্ধারের সময় মনে হয়নি।

মিস্টার শাহজালাল ও ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক দুজনেই বলেছেন ওই নারীর 'সম্ভাব্য হত্যাকারী' তার স্বামী আল আমিন।

আল আমিন বুধবার তার স্ত্রীর ভগ্নীপতির কাছে ফোন করে জানায় যে তার স্ত্রী ঘরের দরজা খুলছেনা।

এরপর থেকেই আল আমিনকে আর পাওয়া যাচ্ছেনা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আর সে কারণেই পুলিশের ধারণা বুধবারই বাচ্চাটিকে মৃত মায়ের পাশে রেখে সটকে পড়ে আল আমিন।

এর কিছুক্ষণ পরেই ওই আত্মীয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘরের দরজা খোলে স্থানীয়রা।

যদিও এর আগেই ঘর থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো।

বাচ্চাটি এখন একজন নিকটাত্মীয়র কাছে আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। -বিবিসি

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১২৩ঘ.)