মা'কে রেলস্টেশনে ফেলে গেলেন বিসিএস কর্মকর্তা ছেলে!

মা'কে রেলস্টেশনে ফেলে গেলেন বিসিএস কর্মকর্তা ছেলে!

ঢাকা, ১ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : গর্ভধারিনী মাকে রেলস্টেশনে ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া এক বিসিএস ক্যাডারের বিরুদ্ধে। গত ২৯ মার্চ এমন অভিযোগ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা হয় ব্যারিস্টার এস এম ইকবাল চৌধুরীর ফেসবুক হ্যান্ডেলে। তার পোস্ট তুলে ধরা হলো-

'কয়েকদিন পর্যন্ত শারীরিক অবস্হা ভালো যাচ্ছেনা। ব্লাডপ্রেসার ডিস্টার্ব করছে আর বন্ধুরা বলে, আমার মাথার মাদারবোর্ড নাকি কাজ করছেনা- হা হা হা। তারপরও রেলস্টেশন গিয়ে দু'জন হাটাহাটি করছি কারণ আমাদের একজন সিনিয়র কলিগকে রিসিভ করতে অর্থাৎ ট্রেনের অপেক্ষায়। কিছুক্ষণ পর একটি জায়গায় বসে আছেন একবৃদ্ধা, যার বয়স সত্তর।

তিনি একজন মা। মায়ের মুখ হতে উচ্চারিত হচ্ছে- “খোকা কোথায় গেলি বাবা”। মায়ের কাছে জানতে চেয়েছি, খোকা কে? তিনি বললেন, আমার একমাত্র ধন(ছেলে)। তার সঙ্গে একটা ছোট ব্যাগ আছে। আমরা তার অনুমতি নিয়ে ব্যাগের বাহ্যিক পকেটে হাত প্রবেশ করালাম যাতে কোন ফোন নম্বর পাওয়া যায় কি না। একটি চিঠি পেয়েছি তাতে কি লেখা ছিল নিম্নে সন্নিবেশিত।

ততক্ষণে ট্রেন উপস্হিত আর অতিথিসহ সিদ্ধান্ত নিলাম মাকে কোনো বৃদ্ধাশ্রমে ভর্তি করায় দেয়ার। স্টেশনমাস্টারের রুমে প্রবেশ করে নিজেদের পরিচয় দিলে তিনি যথার্থ সম্মান দিয়ে জানতে শশব্যস্ত হচ্ছেন কিন্তু আমরা মায়ের দূর্ঘটনার কথা বলাতে, তিনি মাকে নিজ চেয়ারে বসালেন।

মায়ের সন্তান একজন বিসিএস কর্মকর্তা। লোকের বাড়িতে কাজ করে আর রাতে কাপড় সেলাই করে বিসিএস ক্যাডারকে পড়িয়েছেন। আমি চেয়েছিলাম, সেই বদমাশ ছেলের নামসহ বিস্তারিত তুলে ধরতে কিন্তু মায়ের অনুরোধ যাতে তা না করি। মায়ের মতে, সন্তান ও বৌমা ম্যাজিস্ট্রেট আর তাদের সামাজিক মর্যাদা আছে। হায়রে মা... সন্তানের সম্মান মায়ের কাছে কত মূল্য আর কুলাঙ্গারের কাছে মা কত 'বিপদ' !!

মায়ের বর্তমান ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম আর অভিভাবকের কলামে আমার নাম লিখাতে পেরে গর্বিত।

শনিবার বৃদ্ধাশ্রম থেকে ফোন আসলে রিসিভ করে অপরপ্রান্তে মায়ের কণ্ঠে- “খোকা, আমার মন ভালো নাই, যদি পারো একটু দেখতে এসো।” ছুটে গেলাম জননীর নিকট খোকা হয়ে তখন দেখি মাকে ডাক্তার অবজারভেশনে রেখেছেন। মায়ের কপালে হাত রাখতেই তিনি চোখ খুলে মুচকি হেসে পানি চাইলেন এবং আমি তাকে পানি খাওয়াই। তিনি বলেন, খোকা বেঁচে থাকবি সিংহ হয়ে। একদিন মা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে জান্নাতগামী হলেন।

গতমাসে ঘটনাটি ঘটলেও আজ এ বিষয়ে লিখছি কারণ চোখের ঝর্ণাপ্রবাহ লেখার ক্ষমতাকে প্লাবিত করে যার ফলে বারবার বাধা পাচ্ছিলাম। কোনো মায়ের পরিণতি যেন তেমনি না হয়।

ব্যারিস্টার এস এম ইকবাল চৌধূরীর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।মা'কে রেলস্টেশনে ফেলে গেলেন বিসিএস কর্মকর্তা ছেলে!
ঢাকা, ১ এপ্রিল : গর্ভধারিনী মাকে রেলস্টেশনে ফেলে রেখে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া এক বিসিএস ক্যাডারের বিরুদ্ধে। গত ২৯ মার্চ এমন অভিযোগ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করা হয় ব্যারিস্টার এস এম ইকবাল চৌধুরীর ফেসবুক হ্যান্ডেলে। তার পোস্ট তুলে ধরা হলো-

'কয়েকদিন পর্যন্ত শারীরিক অবস্হা ভালো যাচ্ছেনা। ব্লাডপ্রেসার ডিস্টার্ব করছে আর বন্ধুরা বলে, আমার মাথার মাদারবোর্ড নাকি কাজ করছেনা- হা হা হা। তারপরও রেলস্টেশন গিয়ে দু'জন হাটাহাটি করছি কারণ আমাদের একজন সিনিয়র কলিগকে রিসিভ করতে অর্থাৎ ট্রেনের অপেক্ষায়। কিছুক্ষণ পর একটি জায়গায় বসে আছেন একবৃদ্ধা, যার বয়স সত্তর।

তিনি একজন মা। মায়ের মুখ হতে উচ্চারিত হচ্ছে- “খোকা কোথায় গেলি বাবা”। মায়ের কাছে জানতে চেয়েছি, খোকা কে? তিনি বললেন, আমার একমাত্র ধন(ছেলে)। তার সঙ্গে একটা ছোট ব্যাগ আছে। আমরা তার অনুমতি নিয়ে ব্যাগের বাহ্যিক পকেটে হাত প্রবেশ করালাম যাতে কোন ফোন নম্বর পাওয়া যায় কি না। একটি চিঠি পেয়েছি তাতে কি লেখা ছিল নিম্নে সন্নিবেশিত।

ততক্ষণে ট্রেন উপস্হিত আর অতিথিসহ সিদ্ধান্ত নিলাম মাকে কোনো বৃদ্ধাশ্রমে ভর্তি করায় দেয়ার। স্টেশনমাস্টারের রুমে প্রবেশ করে নিজেদের পরিচয় দিলে তিনি যথার্থ সম্মান দিয়ে জানতে শশব্যস্ত হচ্ছেন কিন্তু আমরা মায়ের দূর্ঘটনার কথা বলাতে, তিনি মাকে নিজ চেয়ারে বসালেন।

মায়ের সন্তান একজন বিসিএস কর্মকর্তা। লোকের বাড়িতে কাজ করে আর রাতে কাপড় সেলাই করে বিসিএস ক্যাডারকে পড়িয়েছেন। আমি চেয়েছিলাম, সেই বদমাশ ছেলের নামসহ বিস্তারিত তুলে ধরতে কিন্তু মায়ের অনুরোধ যাতে তা না করি। মায়ের মতে, সন্তান ও বৌমা ম্যাজিস্ট্রেট আর তাদের সামাজিক মর্যাদা আছে। হায়রে মা... সন্তানের সম্মান মায়ের কাছে কত মূল্য আর কুলাঙ্গারের কাছে মা কত 'বিপদ' !!

মায়ের বর্তমান ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম আর অভিভাবকের কলামে আমার নাম লিখাতে পেরে গর্বিত।

শনিবার বৃদ্ধাশ্রম থেকে ফোন আসলে রিসিভ করে অপরপ্রান্তে মায়ের কণ্ঠে- “খোকা, আমার মন ভালো নাই, যদি পারো একটু দেখতে এসো।” ছুটে গেলাম জননীর নিকট খোকা হয়ে তখন দেখি মাকে ডাক্তার অবজারভেশনে রেখেছেন। মায়ের কপালে হাত রাখতেই তিনি চোখ খুলে মুচকি হেসে পানি চাইলেন এবং আমি তাকে পানি খাওয়াই। তিনি বলেন, খোকা বেঁচে থাকবি সিংহ হয়ে। একদিন মা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে জান্নাতগামী হলেন।

গতমাসে ঘটনাটি ঘটলেও আজ এ বিষয়ে লিখছি কারণ চোখের ঝর্ণাপ্রবাহ লেখার ক্ষমতাকে প্লাবিত করে যার ফলে বারবার বাধা পাচ্ছিলাম। কোনো মায়ের পরিণতি যেন তেমনি না হয়।

ব্যারিস্টার এস এম ইকবাল চৌধূরীর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। সূত্র: কালের কণ্ঠ

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/২১০৩ঘ.)