গ্রেফতার-রিমান্ডে নির্দেশনা অনুসরণ হচ্ছে কি না দেখবেন আদালত

গ্রেফতার-রিমান্ডে নির্দেশনা অনুসরণ হচ্ছে কি না দেখবেন আদালত

ঢাকা, ২ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : গ্রেফতার-রিমান্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আপিল বিভাগের দেয়া নির্দেশনা অনুসরণ করছে কি না তা দেখবেন আদালত। সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানীতে আদালত একথা বলেন।

গত বৃহস্পতিবার জনস্বার্থে এই রিট আবেদনটি করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।

বিএনপি ও ছাত্রদলের চার নেতাকে প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে আটকের পর নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর বিষয়টি তুরে ধরে এই রিট আবেদন করা হয়।

রিটে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল নেতা এসএম মিজানুর রহমান রাজ ও আটকের পর পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়া ছাত্রদলের আরেক নেতা জাকির হোসেন মিলনের ঘটনাটি আদালতেকে অবহিত করা হয়।

শুনানিতে আদালত বলেন, কোন নাগরিককে আটকের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের দেয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। আদালত বলেন, দেশের কোন নাগরিককে আটকের সময় আদালতের নির্দেশনা অনসরণ করা হচ্ছে কি না, কিংবা আটকের পর তাদের উপর অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে কি না এবং গ্রেফতার ও রিমান্ডের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের দেয়া নির্দেশনা অনুরসরণ করা হচ্ছে কি না তা আমরা দেখবো।

শুনানীকালে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালতকে বলেন, কিভাবে প্রমাণ হবে যে তারা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

জবাবে রিটকারীর পক্ষে ব্যরিস্টার মওদূদ আহমেদ বলেন, আলাল ও শফিউল বারীকে প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গ্রেফতারের পর নির্যাতন, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে আটক ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর ঘটনাটিই বড় প্রমাণ। এ থেকে আর কি বড় প্রমাণ থাকতে পারে। এরপর আদালত দুপুর দুইটা পর্যন্ত শুনানি মুলতাবি ঘোষণা করেন।

রিটকরীর পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন ব্যরিস্টার মওদূদ আহমেদ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬৪৬ঘ.)