নিহত আইনজীবী রথীশ চন্দ্রের গাড়িচালক গ্রেফতার

নিহত আইনজীবী রথীশ চন্দ্রের গাড়িচালক গ্রেফতার

রংপুর, ৫ এপ্রিল (জাস্ট নিউজ) : রংপুরে বিশেষ জজ আদালতের পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যাকান্ডের মামলায় আরো একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার নাম মিলন মোহন্ত। তিনি বাবুসোনার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ছিলেন। বৃহস্পতিবার মিলনকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এনিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে নিহতের স্ত্রী ও তার প্রেমিক এবং দুই সহযোগীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

কোট পরিদর্শক এবিএম রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, বিকালে পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক খুনের ঘটনায় তার গাড়িচালককে গ্রেফতার করে রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর কঠোর পুলিশি পাহারায় তাকে জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে মিলন মোহন্তকে আদালত থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাবার সময় খুন হওয়া পিপি বাবুসোনার সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। তারা খুনিদের ফাঁসি দাবি করেন।

অন্যদিকে দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। র‌্যালিটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরিষদের সভাপতি বনমালি পাল জানান, পিপি রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনার খুনের ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাক না কেন তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

রংপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, আমরাও তিনদিন ধরে শোক পালন করছি বাবুসোনার খুনের ঘটনায়। আমরা চাই বাবুসোনার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কোতয়ালি থানার ওসি বাবুল মিয়া জানান, রথিশ চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক, তার প্রেমিক কমরুল ইসলামসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবদ করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৯ মার্চ রংপুরের বাবুপাড়ার বাড়িতে পরকিয়ার জেরে স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক স্বামী রথিশ চন্দ্র ভৌমিককে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিক কামরুলের সহযোগীতায় হতা করেন। এরপর ৩০ মার্চ মরদেহ আলমারির মধ্যে ঢুকিয়ে ভ্যানে করে বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দুরে কামরুলের ভাইয়ের মোল্লাপাড়ার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মেঝেতে পুঁতে রাখেন। ৫দিন পর গত ৪ এপ্রিল র‌্যাব লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রথিশ চন্দ্র ভৌমিকের ভাই সুশান্ত ভৌমিক বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১১৭ঘ.)