যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

 

গাজীপুর, ১১ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : স্ত্রীর সঙ্গে কলহের জেরে গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবি পরিবারের ও স্বজনদের। তবে পুলিশের ধারণা হার্টস্ট্রোক করে মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জের বড়গাঁও রামুইড়া পাড়া এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে সন্তানকে দেখতে গিয়ে এ ঘটনার শিকার হন তিনি। নিহত মোশারফ হোসেন (৪৫) বড়গাঁও পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি মুক্তারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।

নিহতের ছোট ভাই স্কুলশিক্ষক মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, মোশারফকে না জানিয়ে স্ত্রী পারভিন আক্তার ঘরে থাকা গরু বিক্রির ১০ হাজার টাকা খরচ করে ফেলে। জানতে পেরে পারভিনের সঙ্গে এ নিয়ে মোশারফের ঝগড়া হয়। পরে দুইদিন আগে পারভিন সন্তানকে নিয়ে বড়গাঁও রামুইড়াপাড়া এলাকায় বাপের বাড়ি চলে যান।

তিনি জানান, রবিবার সন্ধ্যায় বাদল পালোয়ান নামে নিহতের শ্বশুরবাড়ির পাশের গরু ব্যবসায়ী মোশারফকে খবর দেন যে তার সন্তান অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। পরে মোশারফ ওষধ কিনে মাগরিবের নামাজের পর শ্বশুরবাড়িতে যান। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তিনি মারা যান।

কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলাল উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বশুরবাড়ির লোকজন দুর্ব্যবহার ও লাঞ্ছিত করায় পালাতে গিয়ে হার্টস্ট্রোক করে মোশারফ মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত উপজেলার বড়গাঁও এলাকার বালু ব্যবসায়ী মো. মামুন ভূঁইয়া হত্যা মামলার তিন নম্বর সাক্ষী ছিলেন মোশারফ হোসেন।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১১৩৫ঘ.)