আজও ৮ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১০

আজও ৮ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১০

ঢাকা, ২২ মে (জাস্ট নিউজ) : আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১০ জন নিহত হয়েছেন। তবে, পুলিশের দাবি নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায় জড়িত। সোমবার রাতে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, নেত্রকোনা, দিনাজপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম
নগরীর বায়জিদ থানাধীন ডেবারপাড় এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে র‌্যাব-৭ এর কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শুক্কুর আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ১ টি ওয়ানশাটার গান ও বিপুল পরিমাণ গাজা উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে র‌্যাব।

সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক মিমতানুর রহমান বলেন, শুক্কুর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ১০টির অধিক মাদক মামলা রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার শহরের রেলস্টেশনের অদূরে পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুজ্জামান সাধু (৪৫) নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি সে মাদক ব্যবসায়ী ছিল।

সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় পুলিশের এস আই জিয়াউর রহমান, এ এসআই হামিদুর রহমান, এ এসআই শহিদুল ইসলাম, কনষ্টেবল রাকিব আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ১ বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। নিহত কামরুজ্জামান সাধু উপজেলার হারদি গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে এবং সাজাপ্রাপ্তসহ এক ডজন মামলার আসামি।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) লুতফুল কবির জানান, সোমবার দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল আলমডাঙ্গা উপজেলার শহরের রেলস্টেশনের অদূরে পাকা রাস্তার কাছে টহল দেওয়ার সময় ৬/৭ জন চোরাকারবারীকে চ্যালেঞ্জ করে। এসময় চোরাকারবারীরা পুলিশের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে মাদকব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সাধু নিহত হয়, বাকিরা পালিয়ে যায় এবং ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দেশীয় পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি আবু জিহাদ মোঃ ফকরুল আলম খান জানান, নিহত কামরুজ্জামান সাধু এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে ৩বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ থানায় তার বিরুদ্ধে একডজন মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কুমিল্লা
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শরীফ ও পিয়ার নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে জেলা সদরের বিবির বাজার অরণ্যপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযানকালে কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুপ কুমারসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার, একটি পাজারো জিপ, ৫০ কেজি গাঁজা এবং ৫০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

নেত্রকোনা
নেত্রকোনায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম-আমজাদ হোসেন। পুলিশের দাবি নিহত আমজাদ মাদক ব্যবসায়ী ছিল।
সোমবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের বড়য়ারী এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানান, সোমবার রাতে আমজাদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে বড়য়ারী এলাকায় অভিযান চালানোর সময় তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে আমজাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নীলফামারী
নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের গোলাহাট বধ্যভূমি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- শহরের নিচু কলোনী এলাকার জনি (৩৪) ও ইসলামবাগ এলাকার শাহিন (৩২)। পুলিশের দাবি তারা মাদক ব্যবসায়ী ছিল।

সৈয়দপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, আটক জনি ও শাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদে করা হলে তারা জানায়, রাতে গোলাহাট বধ্যভূমি এলাকায় জসিয়ার রহমান জসি ও নূর বাবু নামে দুইজন মাদকের বড় চালান নিয়ে আসবে। এরপর তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে মাদক বিক্রেতাদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে জনি ও শাহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানার ওয়াদুদ হোসেন ও মোকারম হোসেন নামে দুই পুলিশ আহত হয়েছেন।

এছাড়া, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দিনাজপুরে ১ জন, ফেনীতে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখানো পাওয়া যায়নি।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৯৫৪ঘ.)