‘বৃক্ষ-মানব’ আবুল বাজানদার হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন!

‘বৃক্ষ-মানব’ আবুল বাজানদার হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন!

ঢাকা, ২৯ মে (জাস্ট নিউজ) : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন ‘বৃক্ষ-মানব’ বলে পরিচিত আবুল বাজানদার। হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বিবিসিকে জানান, তাদের রোগী কোন কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন, তার কোন কারণ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত হতে পারছেন না।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শনিবার টের পায় যে আবুল বাজানদারের নির্ধারিত কেবিনটি ফাঁকা পড়ে আছে।

দুই বছর চিকিৎসা নেয়ার পর মি. বাজানদার কেন হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সেন বলেন, তার সাথে কে বা কারা নাকি দুর্ব্যবহার করেছে এবং খাওয়া দিচ্ছে না। সেই জন্য তিনি হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন। কিন্তু কে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে, বা কে তাকে খাওয়া দিচ্ছে না, এই ব্যাপারটা সে আমাকে জানাতে পারতো। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি দেখতাম কোন ডাক্তার বা নার্স এর জন্য দায়ী। কিন্তু সে কাউকে কিছু না জানিয়ে যে এভাবে চলে যাবে, তা মোটেই আশা করিনি।

এ ব্যাপারে মি. বাজানদারের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

আবুল বাজানদার গত ১০ বছর ধরে হাত-পায়ে শেকড়ের মতো গজিয়ে উঠা বিরল এক জেনেটিক রোগে ভুগছিলেন। গত দু’বছরে তার ওপর মোট ২৫ দফা অস্ত্রোপচার চালানো হয়েছে। দীর্ঘ সময়ে হাসপাতালে আটকে থাকার আশঙ্কা থেকেই আবুল বাজানদার চলে যেতে পারেন কি না, সে সম্পর্কে ডা. সেন বলেন, তার রোগটি যে আবার ফিরে আসতে পারে এই কথাটি তিনি রোগীকে ভালভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

নিয়মিত চিকিৎসা না হলে তাকে আগের মতো পরিস্থিতিতেও পড়তে হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

মি. সেন জানান, সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখেই আবুল বাজানদারের জন্য তারা হাসপাতালের চাকরির কথাও ভাবছিলেন।

খুলনার পাইকগাছার বাসিন্দা আবুল বাজানদারকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সব খরচ রাষ্ট্রীয়ভাবে করার নির্দেশ দেন।
তার সব অপারেশন বিনামূল্যে করা হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মি. বাজানদার এবং তার পরিবারের বিনাখরচায়ে থাকা-খাওয়া এবং ওষুধপত্রের ব্যয় বহন করে। সূত্র: বিবিসি

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৩৭ঘ.)