জেরুজালেম সম্পর্কে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি

নিউইয়র্ক, ১৫ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘোষণার ফলে মুসলিম বিশ্বে বিক্ষোভের আগুন আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে সংঘাতপূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যে নতুনভাবে উত্তেজনা, শত্রুতা ও সহিংস চরমপন্থা সৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ও হুমকি ডেকে আনবে।

শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষা বিষয়ক কমিটিতে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এর ফলে পবিত্র নগরী পূর্ব জেরুজালেম ইসরাইলের দখলে চলে যাবে, যা এর ঐতিহাসিক ও আইনগত মর্যাদা, জনমিতিক কাঠামো এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে আবহমান আরব-ইসলামিক পরম্পরার পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

রাষ্ট্রদূত মাসুদ ১৯৬৭ সালে নির্ধারিত সীমানার ভিত্তিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, পূর্ব জেরুজালেম সংক্রান্ত জাতিসংঘ রেজুলেশন অনুযায়ী এর আইনগত মর্যাদা সংরক্ষণ করার ওপর বাংলাদেশ বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে।

ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘দুই-রাষ্ট্র’ সমাধান কাঠামোতে পৌঁছানোর লক্ষে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি রাষ্ট্রদূত মাসুদ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, কেবল এর মাধ্যমেই মধ্যপ্রাচ্যের স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা হতে পারে।

সঙ্কটময় এই পরিস্থিতিতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গত ১৩ ডিসেম্বর ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি একাত্মতা ঘোষণার জন্য আহুত ওআইসির বিশেষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের যোগদান ও বাংলাদেশের ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি সভায় তুলে ধরেন।

সেনেগালের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ফোডি সিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রদূত রিয়াদ এইচ মানসুর।

তিনি বলেন, জেরুজালেমের মর্যাদার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা, দায়িত্বজ্ঞানহীন ও রূঢ় সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

জাতিসংঘের যেসব সদস্যরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানিয়েছে এবং নিরাপত্তা পরিষদে ভূমিকা রেখেছে - তাদের সাধুবাদ জানান রাষ্ট্রদূত মানসুর।

তুরস্কের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ফেরিদূন হাদি সিনিরলিওগ্লু ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ওআইসির বিশেষ সম্মেলনের সংক্ষিপ্তসার সভায় উপস্থাপন করেন।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/১৯৫০ঘ.)