‘বাংলাদেশে রাস্তা নির্মাণ ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি’

‘বাংলাদেশে রাস্তা নির্মাণ ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি’

ঢাকা, ৩ জুন (জাস্ট নিউজ) : বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ- সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাংলাদেশে এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে কত টাকা ব্যয় হয়, সেটা আমাদের জানা আছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের চেয়ে অনেক বেশি। বাংলাদেশে আরো বড় বড় ৩/৪টা মেগাপ্রকল্প চলছে, তার ব্যয় বিশ্লেষণ করলেও একই তথ্য পাওয়া যাবে।

রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনা নিয়ে এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, আমরা যতটা না উন্নয়ন ব্যয় নিয়ে চিন্তিত থাকি, তার চেয়ে বেশি চিন্তার বিষয়- এর গুণমান সম্পর্কিত। এটা এখন প্রকাশ্য যে, যে ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেটি দীর্ঘ সময় ধরে বাস্তবায়নের ফলে তার প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু প্রকল্পগুলো অতি মূল্যায়িত হয়েছে কিনা সেটা কিন্তু বড় বিষয়।

তিনি বলেন, একটা বিষয় হচ্ছে সাম্প্রতিককালে দশকব্যাপী বাংলাদেশ যে সামষ্টিক স্থিতিশীলতা ভোগ করে আসছে, সেই সামষ্টিক স্থিতিশীলতার ভেতরে কিছু ক্ষেত্রে চিড় দেখা দিচ্ছে। এর ফলে আগামী দিনে বেশ কিছু উদ্বেগজনক প্রবণতা লক্ষ্য করছি।

তিনি আরো বলেন, তুলনীয় দেশের চেয়ে বাংলাদেশের আয়-ব্যয় এখনও অনেক কম। কিন্তু বাজেট ঘাটতি বা আর্থিক ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। কারণ এটা ৫ শতাংশের নিচে থাকছে।

দেবপ্রিয় বলেন, ইদানিং আমাদের সামগ্রিক বাণিজ্যিক লেনদেনের ঘাটতি বেড়েছে। একইসঙ্গে চলতি হিসাবেও বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি বেড়েছে। রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক সাহায্য বেড়েছে কিন্তু তারপরও ঘাটতি বেড়েছে। এরপর বড় কারণ হলো আমদানি। রেমিট্যান্স, রপ্তানি ১৭ দশমিক ৪ ও ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে আমদানি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। এটা এক প্রকার ছাদ ফুড়ে চলে যাওয়ার মতো।

তিনি বলেন, বৈদেশিক খাতের সঙ্গে আরো বড় দুশ্চিন্তার বিষয়- এখন যে প্রভূত প্রয়োজনীয় ঋণ আমরা নিচ্ছি, তা হয়তো এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। এটা আগামী ৪ বা ৫ বছরে এটি একইরকম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলা যাবে না।

জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬৪০ঘ.)