অ্যাডভোকেটশীপ লিখিত পরীক্ষার ফল রিভিউ পদ্ধতি চালু করার দাবি অকৃতকার্যদের

অ্যাডভোকেটশীপ লিখিত পরীক্ষার ফল রিভিউ পদ্ধতি চালু করার দাবি অকৃতকার্যদের

ঢাকা, ২৫ জুন (জাস্ট নিউজ) : বার কাউন্সিল কর্তৃক নিম্ন আদালতে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভূক্তির লিখিত পরীক্ষার ফল পুনঃমূল্যায়ন (রিভিউ) করার দাবি জানিয়েছেন অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীরা।

তাদের দাবি, প্রকাশিত ফলাফলে অনেক মেধাবীরা তালিকাভূক্ত হতে পারেনি। সহকারী জজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং জুডিসিয়ারিতে বেশ কয়েকবার ভাইভা দেওয়া শিক্ষার্থীরাও বাদ পড়েছেন উত্তীর্ণের তালিকা থেকে। লিখিত পরীক্ষার রেজাল্টে নিজের নাম না আসার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই রিভিউ পদ্ধতি চালু করে খাতা পুনঃমূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।

তালিকায় নাম না আসা ১১তম জুডিসিয়ারিতে মনোনীত সহকারী জজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী অনন্যা রয় হতাশার সুরে জানান, জুডিসিয়ারিতে এত কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলাম। অথচ আইনজীবী তালিকাভূক্তের পরীক্ষায় আমার নাম আসেনি।

তিনি বলেন, অনেক ভাল পরীক্ষা দিয়েও কৃতকার্য না হওয়ার বিষয়টি দু:খজনক। তাই কত নম্বর পেয়েছি তা জানতে চাই। রিভিউ পদ্ধতি চালু করে সেটা করলে মনকে শান্ত্বনা দিতে পারতাম।

নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ রাজন বলেন, আমি ১০ম ও ১১তম জুডিসিয়ারিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা দিয়েছি। অথচ এখানে আমার নাম আসেনি।
তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, আমি অবশ্যই পাশ করার মতো পরীক্ষা দিয়েছি। কিন্তু পদ্ধতির কারণে আমি জানতেও পারছি না, কেন আমার নাম আসলো না। তাই রিভিউ পদ্ধতি চালু করে আমাদের খাতাগুলো পুনঃমূল্যায়ন করা হোক। আশা করি অনেকেই সেখান থেকে উত্তীর্ণের তালিকায় চলে আসবো।

এ বিষয়ে বার কাউন্সিলের সদস্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, খাতা রিভিউ পদ্ধতি নেই। আর এটা এনরোলমেন্ট কমিটির বিষয়। সুতরাং কমিটির কিছুই করার নেই।

গতকাল রবিবার বার কাউন্সিলের সামনে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা রিভিউ পদ্ধতি চালু করে খাতা পুনঃমূল্যায়নের জন্য অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মে অ্যাডভোকেটশীপ এনরোলমেন্টের (তালিকাভুক্তির)জন্য অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ফলাফলে ৮ হাজার ১৩০ জন শিক্ষানবিশ আইনজীবী লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে। এছাড়া ২০৮ জন পরীক্ষার্থীর খাতা থার্ড এক্সামিনারের (তৃতীয় বিচারের জন্য) সিদ্ধান্তের জন্য রাখায় তাদের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে।

এবার লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১১ হাজার ৮৪৬ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার প্রায় ৮ মাস পর এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

২০১৭ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী তালিকাভুক্তির জন্য নৈর্ব্যত্তিক (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৩৫৩ঘ.)