গফুরগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

গফুরগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

ভোলা, ২৮ জুন (জাস্ট নিউজ) : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গফুরগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মো: আব্দুর রশিদ স্যারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ তুলেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয়রা।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আব্দুর রশিদ স্যারের এক স্ত্রী এবং এক সন্ত্রান থাকার পরও তিনি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদেরকে উত্ত্যক্ত করে চলছেন। একজন শিক্ষকের এমন আচরণের কারণে ওই এলাকার লোকজন এখন ক্ষুব্দ হয়ে আছে।

জেলার বিভিন্ন কলেজে পড়ুয়া স্থানীয় একাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা বলছেন, আব্দুর রশিদ স্যারের খারাপ চরিত্রের কারণে এলাকার মানুষ নিজেদের মান-সম্মান রক্ষার্থে এসএসসি পাশ করার আগেই অনেক মেয়েদের এখন বাল্য বিয়ে দিচ্ছেন।

ঘটনার সত্যতা ও অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, গফুরগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাচ্চু স্যার বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্কুলে এবং এলাকায় একাধিকবার মিটিং ও সালিশ হয়েছে। আমরা স্যারকে বার বার সতর্ক করেছি। এর পরেও সমাধান না হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গফুরগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মান রক্ষার জন্য একজন শিক্ষকই যথেষ্ট আবার একটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংশ করার জন্যও একজন শিক্ষকই যথেষ্ঠ। আব্দুর রশিদ স্যারের কারণে স্কুলের প্রতি ছাত্রীদের এখন অনিহা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে যথারীতি ক্লাশে আসে না। ঈদুল ফিতরের পর থেকে অভিযুক্ত স্যারও ক্লাশে আসে না।

জানা গেছে, গফুরগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব স্যারও একাধিকবার মিটিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ স্যারকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু তাতেও কোন পরিবর্তন আসেনি।

এদিকে আব্দুর রশিদ স্যারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি হয়েছে। এলাকায় এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও আব্দুর রশিদ স্যারের মধ্যে কোন পরিবর্তন না দেখে স্থানীয়রা অবাক এবং ক্ষুব্দ হয়ে আছেন।

স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রীরা বলছেন, যে কোন সময় এই শিক্ষককে গণধোলাই দিবে এলাকাবাসী।

আব্দুর রশিদ স্যারের সাথে ছবি রয়েছে এমন একজন ছাত্রীর ভাইয়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছিনা। আমি কিছুই জানি না।

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাকরি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি আমি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছি। আমি খুব দ্রুত ঢাকায় চলে যাবো। আমি আর গ্রামে থাকবো না।

উল্লেখ্য, ছাত্রীদের সম্মানের দিক বিবেচনা করে তাদের নাম এবং ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি।


(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২১২ঘ.)