জিয়া চ্যারিটেবল মামলা

খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ল

খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ল

ঢাকা, ২৮ জুন (জাস্ট নিউজ) : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য মুলতবি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান ১০ জুলাই পর্যন্ত জামিন বৃদ্ধি করেন।

বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টসহ অধিকাংশ মামলায় বেগম খালেদা জিয়া জামিনে রয়েছেন। এ বিষয়টি আদালতে আমরা উপস্থাপন করেছি। এ ছাড়া তিনি অসুস্থ রয়েছেন উল্লেখ করে কারা কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দিয়েছে।

বেলা ১১টা ১০ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়ে সোয়া ১১টায় শেষ হয়। শুনানি শেষে আদালত বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বৃদ্ধি করে ১০ জুলাই পরবর্তী সময়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।

এ ছাড়া এ মামলার আসামি জিয়াউল হাসান মুন্নার সময়ের আবেদনও মঞ্জুর করা হয়। ওই দিন যুক্তিতর্ক শুনানির জন্যও নতুন দিন ধার্য করা হয়।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- বেগম খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশীদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পর বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৫৪০ঘ.)