রোহিঙ্গা নিপীড়নে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত : বিশ্বব্যাংকপ্রধান

রোহিঙ্গা নিপীড়নে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত : বিশ্বব্যাংকপ্রধান

ঢাকা, ১ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ বর্বরতার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।

রবিবার সকাল ৯টায় সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকের পর জিম ইয়ং কিম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যে ৪৮ কোটি ডলার দেয়া হয়েছে, তার পুরোটাই সহায়তা। এ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ধারণ করায় বাংলাদেশের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য জটিল সমস্যা ও বড় ধরনের বোঝা। বিশ্বের কোনো দেশ এত বড় বোঝা বহন করতে পারবে না। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা করে দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, এখন সম্মানজনকভাবে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চাই। এজন্য দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা শাহেদুর রহমান জানান, সকাল ৯টার দিকে বৈঠক শুরু হয়ে ১০টায় শেষ হয়।

এর আগে এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্দশা আমাদের গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। তারা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের সহায়তা দিয়ে যেতে আমরা প্রস্তুত আছি।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছান বিশ্বব্যাংকের প্রধান জিম ইয়ং কিম। রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি সরেজমিন দেখার জন্যই তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।

এর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, পয়োনিষ্কাশন ও সামাজিক সুরক্ষায় বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বৃহস্পিতবার প্রথম কিস্তিতে চলমান একটি স্বাস্থ্য খাত সহায়ক প্রকল্পের জন্য পাঁচ কোটি ডলার মঞ্জুর করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।

রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযানের মুখে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে সাম্প্রতিক সময়ে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডা সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যৌথভাবে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য খাতের জন্য এ অনুদান দিচ্ছে। কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা রোহিঙ্গা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর বয়সীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা, জন্মনিয়ন্ত্রণ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় এই অর্থ ব্যয় করা হবে।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬২২ঘ.)