অনশনে অনড়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা

অনশনে অনড়, গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা

ঢাকা, ৫ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার এগারতম দিনের আমরণ অনশনরত শিক্ষকদের প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা স্যালাইন না নেয়া এবং হাসপাতালে ভর্তি না হওয়ার সিদ্ধান্তে অসুস্থতদের নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।

নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বৃহস্পতিবার বলেন, অনশনরত শিক্ষকদের কেউই আর স্যালাইন না নেয়া এবং হাসপাতালে ভর্তি না তে চাচ্ছেন না। এখন অসুস্থদের নিয়ে আমরা শংকিত। তিনি জানান, আমরা অনেকেই অসুস্থতার তালিকায়।

প্রধানমন্ত্রী গত পরশু সংসদে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম নিয়ে যে কথা বলেছেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো নীতিমালার কথা বলেছেন, আমরা চাই স্বীকৃতি প্রাপ্ত সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি।

এ দাবিতেই আমরা আমরন অনশন করছি। তিনি বলেন, নীতিমালা অনুসরণ করা হলে তো ২ শ’ প্রতিষ্ঠানও এমপিওভুক্তি হবে না।

তিনি বলেন, স্বীকৃতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের এ সব শিক্ষকদের শিক্ষকতা ও স্কুল পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত ১০/১২ বা ১৫ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করে আসছি। এখন স্বীকৃতির পরীক্ষা দিয়ে এমপিও নিতে হবে। আমাদের অনেকেরই এখন ভিন্ন চাকরিতে যাওয়ার সুযোগ নেই। গত ১১তম দিনে অনশনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীত দিকের ফুটপাতে আমরন অনশন কর্মসূচি চলছে। আষাড়ের রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে দিনের পর দিন লাগাতার আমরন অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন এ সব শিক্ষকরা।

তাদের দাবী শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভূক্ত করতে হবে। অনশনকারীরা জানান, বর্তমানে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে পাঁচ হাজার ২৪২টি।

এছাড়া সরকার নতুনভাবে ১৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাদের দাবি, সারা দেশে পাঁচ হাজারের বেশি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পাঠদান করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মানবিক বিবেচনায় তাদের এমপিওভূক্ত করা হোক।

(জাস্ট নিউজ/একে/২০৫০ঘ.)