৩ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

৩ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

ঢাকা, ৮ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ঝিনাইদহ, গাইবান্ধা ও ময়মনসিংহে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৪ জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার দিবাগত রাতে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাজ্জাদুল ইসলাম ও আবদুর রাজ্জাক নামে দুজন নিহত হয়েছেন।

র‌্যাবের দাবি, নিহতরা মাদক বিক্রেতা। সাজ্জাদুল ইসলামের বাড়ি জেলা শহরের বাঘাযতিন সড়কে ও আবদুর রাজ্জাকের বাড়ি উদয়পুর গ্রামে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন র‌্যাবের দুই সদস্য।

শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে শহরের পবহাটী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের ডিউটি অফিসার এএসআই মো. লিটন হোসেন জানান, টহল চলাকালে মোটরসাইকেলে মাদক ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থল দিয়ে গেলে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে আহত হন মাদক ব্যবসায়ী সাজ্জাদুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক।
রাতেই দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোটরসাইকেল, ৫৫ বোতল ফেনসিডিল, ১৫২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং দুই রাউন্ড গুলিসহ দুইটি শুটারগান।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন র‌্যাবের দুইজন সদস্য। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শামসুল মিয়া (৩৮) নামে এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাতে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের সাকোয়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে।

শামসুল আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও একাধিক মামলার আসামি ছিলেন। তার বাড়ি পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের সাকোয়া গ্রামে।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান শাহারিয়ার বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে সদর, সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা ও ডাকাতির ১১টি মামলা রয়েছে।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সন্দেহভাজন এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম ফারুক মিয়া (৩০)। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার আঠারবাড়ী তেলওয়ারী গণ্ডি মোড় এলাকায় এ ঘ্টনা ঘটে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস দাবি করেন, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই সাফায়েত, এএসআই মো. খলিল ও কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন আহত হয়েছেন। তাঁদের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ১০০টি ইয়াবা, সাতটি গুলির খোসা, একটি রামদা, একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। নিহত ফারুকের বিরুদ্ধে আটটি মাদকসহ প্রায় ১১টি মামলা আছে।

এসআই পরিমল দাস জানান, রাত সোয়া ২টায় এলাকায় মাদক ভাগাভাগির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় ঈশ্বরগঞ্জ থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। পুলিশের দল আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। এলাকা তল্লাশি করে মাদক ব্যবসায়ী ফারুক মিয়াকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/০৯৫১ঘ.)