ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও বিচারিক ব্যবস্থা নেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও বিচারিক ব্যবস্থা নেয়া হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১৭ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে বিচারিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত যাতে নির্ভুল হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। আমি এটুকু বলতে পারি তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা এবং যদি প্রয়োজন পড়ে বিচারিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। এখানে আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।

উল্লেখ্য, ডিআইজি মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ বছরের জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। সর্বশেষ মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকা প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলেছেন।

এদিকে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর অংশ হিসেবে গত ৩রা মে দুদক কার্যালয়ে ডিআইজি মিজানকে ৭ ঘণ্টা বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের পরিচালক কাজী শফিকুল আলম ও উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর গত ১১ই জুলাই এ পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার সম্পদের হিসাব জমা দেয়ার নোটিশ জারি করেছে দুদক। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজানের নামে স্থাবর-অস্থাবর এক কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৩ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৫০ টাকার স্থাবর ও ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ১১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮৫০ঘ.)