কোটা পর্যালোচনা কমিটির মেয়াদ আরো ৯০ কার্যদিবস বৃদ্ধি করেছে সরকার

কোটা পর্যালোচনা কমিটির মেয়াদ আরো ৯০ কার্যদিবস বৃদ্ধি করেছে সরকার

ঢাকা, ১৯ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার সময় তিন মাস বৃদ্ধি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবকে প্রধান করে গত ২ জুলাই গঠিত কমিটির মেয়াদ আরো ৯০ কার্যদিবস বৃদ্ধি করে বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা/সংস্কার/বাতিলের লক্ষ্যে সাত সদস্যের ওই কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। বৃহস্পতিবারই কমিটির ১৫ কার্যদিবসের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

সময় বাড়িয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, গঠিত কমিটির মেয়াদ ১৫ কার্যদিবসের অতিরিক্ত ৯০ কার্যদিবস বর্ধিত করা হলো।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব ছাড়াও কমিটিতে জনপ্রশাসন, অর্থ, সরকারি কর্ম কমিশন সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবকে নিয়ে কমিটি গঠিত হয়েছিলো।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি)-কে এ কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে যে কেউকে কো-আপ্ট করতে পারবে বলে আগের প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর এক নির্বাহী আদেশে সরকারি, আধাসরকারি, প্রতিরক্ষা এবং জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করেছে সরকার।

বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, পশ্চাদপদ জেলাগুলোর জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ কোটা পদ্ধতি সংরক্ষিত চালু আছে। সব মিলিয়ে শতকরা ৫৬ ভাগ কোটা পদ্ধতি রয়েছে।

প্রসঙ্গত , কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশজুড়ে কঠোর আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। সেই আন্দোলনের শিক্ষক, পেশাজীবী থেকে শুরু করে প্রায় সব মহল থেকেই সমর্থন আসে। সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোটা থাকবে না বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি এই আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। রিমান্ডেও নেয়া হয়েছে কোনো কোনো শীর্ষ নেতাকে। নির্যাতনের মধ্যেও শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দিয়েছেন।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/২০২০ঘ.)