রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বললেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডকে জাতিগত নিধনযজ্ঞ বললেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ আগস্ট (জাস্ট নিউজ) : রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের এক বছর পূর্তিতে একে ‘ঘৃণ্য জাতিগত নিধন’ আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পমেপও।

শনিবার প্রচারিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, তার দেশ এ হত্যাযজ্ঞের পেছনে যাদের হাত রয়েছে তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করবে। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ৭ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি এ বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, এক বছর আগে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য জাতিগত নিধনযজ্ঞ পরিচালনা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র এ নিধনযজ্ঞের সঙ্গে যুক্তদের দোষী হিসেবে চিহ্নিত করবে।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রের সফলতার জন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে অবশ্যই মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। এ মাসের শুরুতে, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের চার সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

দেশটি তাদের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধনযজ্ঞ পরিচালনা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ১৯৬২ সাল থেকে প্রায় ৫০ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। দেশটিতে বর্তমানে গণতন্ত্র ফিরে আসলেও সরকারের উপরে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ সুসপষ্ট। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সুচি রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন অস্বীকার করে আসছেন। সে সময় তিনি দাবি করেন, সেনাবাহিনী আইন মেনেই রাখাইনে মুসলিম জঙ্গিদের দমন করেছে।

এদিকে, শনিবার নিধনযজ্ঞের এক বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা বিক্ষোভ করেছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা এ বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ সময় তাদের ওপরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনকে রোহিঙ্গা গণহত্যা বলে অভিহিত করে।

(জাস্ট নিউজ/ডেস্ক/একে/০০৪১ঘ.)