পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে কড়া নিরাপত্তা

পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে কড়া নিরাপত্তা

ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর (জাস্ট নিউজ) : রাজধানীর পুরান ঢাকার পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। কারাগারের ভেতর স্থাপিত বিশেষ আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দুই আসামি আদালতে অনাস্থার বিষয়ে আজ বুধবার আদেশ হওয়ার কথা রয়েছে। মামলার আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অপর মামলায় কারাগারেই বন্দী আছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, কারাগারের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অবস্থান নিয়েছেন। আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে আশপাশের দোকানপাটও। এছাড়া যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। সামনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও।

এর আগে মামলার শুনানির জন্য এই কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষকে অস্থায়ী আদালত হিসেবে ঘোষণা করে ৪ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত সোমবার এই মামলার দুই আসামি আদালতে অনাস্থা দেন। এর ওপর তার প‌রের‌দিন মঙ্গলবার আদেশ দেওয়ার দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।

গতকাল আদালত বলেন, অনাস্থার বিষয়ে আজ বুধবার আদেশ দেবেন। মঙ্গলবার এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ার আবেদনের ওপর শুনানি ও আদেশের পর ২০ মিনিটের বিরতিতে যান আদালত। বিরতির পর আবারো তিনি আসেন। কিন্তু এসময় আদালতে ছিলেন না খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

আদালতের প্রতি অনাস্থা দেওয়া দুই আসামি হলেন বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয় জিয়াউল ইসলামকে। মঙ্গবার তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে আদালতে তাঁর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম হাজির ছিলেন না। মনিরুলের আইনজীবী আখতারুজ্জামান আদালতে হাজির ছিলেন। ২০ সেপ্টেম্বর এই মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে না আসায় তাঁর বিচার চলবে বলে আদেশ দেন আদালত। মঙ্গলবারও খালেদা জিয়াকে আদলতে হাজির করা হয়নি।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২০৫ঘ.)