আলেক্সাজান্দ্রিয়ার বাড়ি ভাড়া পরিশোধের প্রস্তাব বাংলাদেশীদের

আলেক্সাজান্দ্রিয়ার বাড়ি ভাড়া পরিশোধের প্রস্তাব বাংলাদেশীদের

নিউইয়র্ক, ১৬ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : ইউএস কংগ্রেস আলেক্সাজান্দ্রিয়া ওকাসিও কার্টজ ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে নিউইয়র্কের ১৪ আসন থেকে হাউস প্রতিনিধি হয়েছেন গত মধ্যবর্তী নির্বাচনে। তিনি পরাজিত করেছেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির শক্তিশালী প্রার্থী এবং ককাসের চেয়ারম্যান জোসেফ ক্রাউলিকে। মাত্র ২৯ বছর বয়সে কংগ্রেস সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এ যাবতকালের সর্বকনিষ্ঠ নারী কংগ্রেস সদস্যের স্বীকৃতি পেয়েছেন। জানুয়ারিতে তিনি নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন কংগ্রেস ওম্যান হিসেবে। এসময় পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে তাকে একটি এপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে হলে প্রথম বেতন (পে চেক) প্রয়োজন। তিনি এ নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন।

নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান এবং রেস্টুরেন্ট কর্মচারি আলেক্সাজান্দ্রিয়া নির্বাচনে জয়ী হবার পর ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করতে হচ্ছে আগামী ৩ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত। এ সময়ে তিনি কোনো বাসা ভাড়া পাবেন না। অথচ বাসা ভাড়া দেয়ার সামর্থ নেই তার। ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই কংগ্রেস ওম্যানের গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশি আমেরিকান সমর্থকরা ‘আলেক্সান্দ্রিয়ার জন্যে ‘বাসা ভাড়া তহবিল’ সংগ্রহের একটি উদ্যোগ নেন। কমিউনিটি লিডার হাসানুজ্জামান হাসান এই উদ্যোগের কথা সরাসরি আলেকজান্দ্রিয়ার অফিসকে ১২ নভেম্বর অবহিত করেন।

কিন্তু তাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, নির্বাচিত কংগ্রেসওম্যান হিসাবে আলেক্সজান্দ্রিয়াকে নীতি-নৈতিকতা মেনে চলতে হবে। ‘হাউস এ্যাথিক্স কমিটি’ এমন বিধি তৈরী করেছে বহুবছর আগে। কংগ্রেসম্যানের ব্যক্তিগত কারণে কোনো আর্থিক সহায়তা বা উপঢৌকন নেয়া একেবারেই নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানের ব্যয়ভার তাকেই বহন করতে হবে যে কোনো উপায়ে। তবে আলেক্সজান্দ্রিয়ার রাজনৈতিক কর্মসচির জন্যে যে কেউ অনুদান দিতে পারবেন প্রচলিত রীতি অনুযায়ী।

অনুদানের সেই অর্থ কোনোভাবেই ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা যাবে না’-বলেছেন আলেক্সজান্দ্রিয়ার বাংলাদেশি সহকারি নওরীন আকতার। হাসানসহ বাংলাদেশী যারা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিবাসী মা-ও আমেরিকান বাবার সন্তান আলেক্সজান্দ্রিয়া তৃণমূলের সংগঠক হিসেবে উঠে এসেছেন। তাকে প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার প্রতিক হিসেবে অভিহিত করা হয়। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই তিনি দারিদ্র্য, সম্পদের সমতা ও অভিবাসন ইস্যুতে প্রচারণা চালান। নিজেকে তিনি একজন খেটে খাওয়া মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন। সমাজকর্মী হিসেবে তিনি ২০১৮ সালের শুরু পর্যন্ত কাজ করেছেন রেস্তোরাঁয়। তার আর্থিক বিবরণে দেখা যায় তিনি গত বছর উপার্জন করেছেন প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ ডলার। সদ্য নির্বাচিত এই কংগ্রেস ওম্যান ইতোমধ্যেই বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে সংখ্যতা গড়ে তুলেছেন। বাংলাদেশীদের আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কমিউনিটির কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রতিও ব্যক্ত করেছেন আলেকজান্দ্রিয়া কর্টেজ।

(জাস্ট নিউজ/প্রতিনিধি/একে/১১৪০ঘ.)