খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে বহির্বিশ্ব

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ

নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রতিনিধি, ৫ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রাধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কথিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে ঘিরে বাংলাদেশের ন্যায় ফুঁসে উঠেছে বহির্বিশ্ব। সভা-সমাবেশ, স্মরকলিপি প্রদান ও প্রতিবাদ কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ক্ষোভের জানান দিচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। নিউইয়র্ক, লন্ডন, ব্রাসেলস, প্যারিস, বার্লিন, রোম, কোপেনহেগেন, ভিয়েনা, স্টকহোম, কোয়ালালামপুর, সিডনি, মস্কো, অটোয়া প্রভৃতি শহর যেন প্রতিবাদের নগরি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের শহর দুবাই, মক্কা, মদিনা, দোহা জুড়ে চলছে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচী।সোমবার বিশ্বের রাজধানীখ্যাত নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা ও তথাকথিত বিচারের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে শত শত প্রবাসি বাংলাদেশি। নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দীর্ঘদিন না থাকলেও বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখতে একাট্ট্রা হয়েছেন বিভিন্ন উপ-দলে বিভক্ত বিএনপি সমর্থক নেতা-কর্মীরা। ‘আমার নেত্রী আমার মা, জেলে যেতে দেবনা’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে ম্যানহাটনের প্রথম এভিনিউর ৪৭ নম্বার সড়ক।বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রাধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দেওয়ার চক্রান্ত করছে অনির্বাচিত ও অবৈধ এই সরকার। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে বলে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।তারা বলেন, উন্নয়নের নামে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে বলি দেওয়া হচ্ছে। জনগণ ভোটাধিকার হারিছে। দুর্নীতে ছেয়ে গেছে দেশ। বাংলাদেশ একনায়কতন্ত্রে পরিনত হয়েছে। এই সরকারের দেশ পরিচালনার কোন এখতিয়ার নেই। সরকার গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ও গণগ্রেফতার চালিয়ে অবৈধ শাসন ব্যবস্থাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তরণে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ডা. মুজিবুর রহমান মুজুমদার, আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান, গিয়াস আহমেদ, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, জসিম ভূঁইয়া, দেলওয়ার হোসেন, আব্বাস উদ্দিন দুলাল, মঞ্জুর চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, আব্দুস সবুর, মোশাররফ সবুজ, শামসুল ইসলাম মজনু, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আলহাজ্ব বাবর উদ্দিন, গোলাম ফারুক শাহীন, সেলিম রেজা, আনোয়ারুল ইসলাম, হেলাল, আক্তার হোসেন বাদল, গিয়াস উদ্দিন, বাকের আজাদ, জাহিদ এফ সাদী, ফিরোজ আহমেদ, সাইদুল হক, কাজী আজম, মার্শাল মুরাদ, নিউজার্সি স্টেট বিএনপির সৈয়দ জুবায়ের আলী ও কাউসার শাহীন, ওমর ফারুক, ডা. তারেক জামান, এবাদ চৌধুরী, মাহমুদ চৌধুরী, জাফর তালুকদার, আবুল বাসার, ফয়সাল, যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ বাতিন, যুবদল সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, সহসভাপতি আতিকুল হক আহাদ, আহবাব চৌধুরী, আলহাজ্ব মাহফুজুল মওলা নান্নু, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আহাদ, আমানত হোসেন আমান, শেখ হায়দার আলী, রেজাউল আজাদ ভূঁইয়া, সাইফুর খান হারুন, আবু তাহের, সোহরাব হোসেন, আহবাব হোসেন খোকন, আল মামুন সবুজ, সালেহ আহমদ রুমেল, জি আর সুমন, নুরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, ভিপি জসিম, খলকুর রহমান, আমিনুল স্বপন, জুবায়ের শাহীন, কাওসার আহমেদ, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, সুয়েব আহমেদ, নাসির উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম প্রমুখ।(জাস্ট নিউজ/প্রতিনিধি/ওটি/১১৪১ঘ.)