‘...তবে কেন লোক হাসালি?’

‘...তবে কেন লোক হাসালি?’

সৈয়দ মাসুদ মোস্তফা


দেশের সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশেই লঙ্কাকাণ্ড ঘটে গেছে বলতে হবে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এই আন্দোলনের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি কেউ কাউকে ছাড় দিতে চায়নি; বরং খেলাটা ‘কেউ কারে নাহি ছাড়ে, সমান সমান’ বলেই মনে হয়েছিল। যুদ্ধংদেহী অবস্থান ছিল উভয় পক্ষে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী তো সংসদে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের মুণ্ডুপাত করে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যা দিয়ে তাদের দেখে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে বসলেন এবং এই যুদ্ধে নিজেরা বিজয়ী হবেন বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা কম গেলেন না। তারা কৃষিমন্ত্রীসহ সরকারকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বসলেন। শেষ পর্যন্ত খেলা জমে উঠেছিল সমানে সমানে। কিন্তু মন্ত্রীর এই নর্তন-কুর্দন খুব একটা সুফল বয়ে আনল না, বরং জ্বালানো আগুনে ঘি ঢেলে দিয়ে পরিস্থিতি আরো নিয়ন্ত্রণহীন করে তোলা হলো। এর পরিণতি কারো অজানা নয়।

ক্ষমতায় থাকলে অগ্র-পশ্চাৎ ভেবেই কথা বলতে হয়। কৃষিমন্ত্রী বোধহয় সে কাজটি করতে ব্যর্থ হলেন। তা অনাকাক্সিক্ষত বক্তব্যে প্রতিপক্ষের পালেই হাওয়া লেগেছিল। ফলে কথিত রাজাকারের বাচ্চারা হাজারে হাজার বেরিয়ে আসতে শুরু করে। দেশে যে এত সংখ্যক কথিত ‘রাজাকারের বাচ্চা’ এখনো আছে, তা হয়তো মন্ত্রী উপলব্ধিই করতে পারেননি। কিন্তু তিনি তা নিজ চোখেই প্রত্যক্ষ করলেন। তাকে একসময় বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হলো। প্রাথমিক সফলতা পেলেন আন্দোলনকারীরা।

সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে বা কোনো যৌক্তিক দাবি-দাওয়া পেশ করলেই যে রাজাকার হয় না, সেটা সরকার টের পেল বিলক্ষণ এবং তা মনে-প্রাণে মেনেও নেয়া হলো। এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে না নিলেও ‘এমন বক্তব্য দেয়নি’ বলে আমজনতার হাসির খোরাক হলেন। এমনকি এখন যে প্রযুক্তির যুগ, তাও তিনি বেমালুম ভুলে বসলেন। ফলে মানুষ যা বোঝার তা ঠিক বুঝে নিলো। কিন্তু মন্ত্রী কী বুঝলেন তা অবশ্য অজানাই রয়ে গেল। তিনি এমনটি না করে সম্মানজনকভাবেই বিষয়টির একটি সমাধান দিতে পারতেন।

যা হোক, দুর্বার ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকারকে একসময় ‘গোঁফ নামাতেই হলো’। এ ছাড়া হয়তো কোনো বিকল্প পথও ছিল না। কারণ, খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিকতার সাথে একাত্ম হলেন। তাই রূঢ় বাস্তবতা ও যৌক্তিকতাকে মেনেই নিতে হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেছিলেন কোটা পদ্ধতি সংস্কারের। সরকার যেখানে ‘গোঁফটা একটু ছোট করলেই চলত’, সেখানে পুরো কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দিয়ে একেবারে গোঁফ নামিয়ে ‘মাথা পর্যন্ত মুড়িয়ে ফেলা হলো’। ফলে একই আন্দোলনে দ্বিতীয় দফা লোক হাসানোর ঘটনা ঘটল। কিন্তু খেলা তো এখানেই শেষ হলো না, তার আরো বিস্তৃতি ঘটেছে।

ধারণা করা হয়েছিল, কোটা সংস্কারবিষয়ক আন্দোলনের একটি যৌক্তিক পরিসমাপ্তি ঘটেছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা মোটেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি বা এ জন্য চেষ্টাও করেননি। ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষপর্যায়ের তিন নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে চলমান সঙ্কট জটিলতর করে তুলেছে। অভিযোগ উঠেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এদের তুলে নেয়ার সময় চোখ বেঁধেছিল। অবশ্য তিনজনের মধ্যে একজন তা অস্বীকার করেছেন। তবে গর্হিত কিছু একটা যে ঘটেছে তা অবশ্য কোনো পক্ষই অস্বীকার করছে না। কিন্তু একটি মীমাংসিত ইস্যুকে টেনে নতুন করে ইস্যু বানানোর ফলে কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এমনও অভিযোগ উঠেছে, এ অঙ্গীকার বিষয়ে সরকার মোটেই আন্তরিক নয়, বরং দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার নিজেদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে চেয়েছে। কিন্তু আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির পর নতুন করে আশার আলো সৃষ্টি হওয়ায় তাও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কিন্তু মুক্তিপ্রাপ্ত ছাত্র রাশেদ বিশ্বাসের বাবা নবাই বিশ্বাসকে আটক করে থানায় নিয়ে নাজেহাল করার ঘটনায় সন্দেহ নতুন করে দানা বেঁধে ওঠে। জনমনে সন্দেহ দানা বেঁধে ওঠে, সরকার হয়তো পরিকল্পিতভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলনের অর্জনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছে। কিন্তু প্রবল তোপের মুখে নবাই বিশ্বাসকে ছেড়েই দিতে হয়েছে।

এরপরও নাটকের যবনিকা ঘটল না। একের পর এক নতুন দৃশ্যের অবতারণা ঘটেছে। গত ১৯ এপ্রিল গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল থেকে তিন ছাত্রী- গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শারমীন শুভ, থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের কামরুন্নাহার লিজা ও গণিত বিভাগের পারভীনকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। রাত ১০টার দিকে পারভীন ও লিজা এবং রাত ১২টার দিকে শুভকে হল ছাড়তে হলো। অভিভাবকেরা এসে তাদের নিয়ে যান বলে জানা যায়। পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিমির বাবা হলে উপস্থিত হন রাত সাড়ে ১২টার দিকে। পরে তিনি একাই হল অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু কেন গেলেন বা কেনই এলেন, এর কোনো উত্তর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিতে পারল না।

গভীর রাতে কী কারণে এ আবাসিক শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়া হলো তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হলো না। বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিও তাদের বহিষ্কারের কোনো কারণ জানাতে পারেননি। বরং বলেছেন, ‘আমরা কারণ জানার চেষ্টা করছি। তা জানতে পারলে জানাব।’ তিনি অবশ্য দাবি করেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে মধ্যরাতে ছাত্রীদের বের করে দেয়া হয়নি, তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। বের করে দেয়ার কথা গুজব। এর মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। হল থেকে কাউকেই বের করে দেয়া হয়নি।’ কিন্তু এমন বক্তব্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমত, তিনি দাবি করেছেন; কাউকে বের করে দেয়া হয়নি, অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কেন এটা করা হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হলো, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা তার কারণই জানতে পারলেন না, এটা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। আর এ জন্য গভীর রাত কেন বেছে নেয়া হলো তা রহস্যজনক। শিক্ষার্থীরা কোনো অপরাধ করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারতেন। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে খেয়ালখুশিমতো শিক্ষার্থী বহিষ্কার করে অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়ার অপপ্রচার চালানো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত ও স্বেচ্ছাচার হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। ইচ্ছা করলে কর্তৃপক্ষ আরো দায়িত্বশীল হতে পারত। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কোনো সদিচ্ছা দেখা যায়নি।

অভিযোগ উঠেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কিন্তু সে আন্দোলন তো বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট ছিল না। এটা ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দেশব্যাপী আন্দোলন। ছাত্রদের দাবি-দাওয়া ছিল সরকারের কাছেই। আর এই আন্দোলন তো সরকারই যৌক্তিক মনে করে এর দাবি মেনে নিয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অতি উৎসাহী হয়ে শিক্ষার্থী নিগ্রহের ঘটনাকে কেউই মেনে নিচ্ছেন না। এটাকে গোষ্ঠী তোষণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আর এই আন্দোলনে যে সংশ্লিষ্ট হলের মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে, এমনও নয়। এমনকি এই আন্দোলনের সাথে ঢাবি ভিসিও একাত্ম হয়েছিলেন। বিশেষ কাউকে রক্ষা করার জন্য কিছু নিরীহ শিক্ষার্থীকে নাজেহাল করাকে কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা না বলে কি উপায় আছে?

অবশ্য ভিসি দাবি করেছেন, আন্দোলনে অংশ নেয়া নয়, বরং আন্দোলনে উসকানি দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব শিক্ষার্থী আন্দোলনে কী ধরনের উসকানি দিয়েছে, তা তিনি স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি। যারা কোনো আন্দোলনে অংশ নেয়, সে আন্দোলনকে গতিশীল ও বেগবান করার জন্য ক্যাম্পেইন করতেই পারে। আন্দোলন যদি গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে আন্দোলনের পক্ষে প্রচারণা কেন অগ্রহণযোগ্য হবে?

লোক হাসাতে পিছপা হননি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্টও। তিনি দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা স্বেচ্ছায় তাদের মেয়েদের হল থেকে নিয়ে গেছেন। কিন্তু কী কারণে নিয়ে গেলেন তা স্পষ্ট নয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘১০ এপ্রিল রাতে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়েছে, মোবাইল চেক করে আমরা তাদের শনাক্ত করেছি। গুজব ছড়ানোর সাথে যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবক ডেকে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। কিন্তু পরে তিনি দাবি করেন, অভিভাবকেরা ‘স্বেচ্ছায়’ মেয়েদের নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘এশা একজন শিক্ষার্থীর রগ কেটে দিয়েছিল বলে যে গুজব ১০ এপ্রিল ছড়ানো হয়েছিল, মোবাইল চেক করে ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করেছি। যারা জড়িত ছিল, তাদের অভিভাবকদের হলে ডেকেছি।’

প্রভোস্ট একেক সময় একেক কথা বলেছেন। অভিভাবকেরা শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছায় নিয়ে গেছেন বলে প্রমাণিত হয়নি। ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেত্রী কর্তৃক শিক্ষার্থীর রগ কেটে দেয়ার গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু তা যদি গুজবই হয়ে থাকে, তাহলে তদন্ত না করেই কেন তাকে হল এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হলো, এর কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা আছে কি?

গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তিন শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হলেও ছাত্রদের আলটিমেটাম দেয়ার মুখে তাদের হলে ফিরিয়ে আনা হলো। অবশ্য প্রভোস্ট দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই হলে ফিরেছে। তাদের কর্তৃপক্ষ ফিরতে বলেনি। কিন্তু বহিষ্কৃৃত শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়াই কিভাবে হলে ফিরতে পারে, এ বিষয়েও বেশ হাস্যরস ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আবার পরক্ষণই প্রভোস্ট দাবি করেছেন, শিক্ষার্থীদের ‘কাউন্সেলিংয়ের জন্য’ অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল। কাউন্সেলিং শেষে তাদের আবারো ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু গভীর রাতে কেন কাউন্সেলিংয়ে পাঠানো হলো, আবার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফিরে এলো, বিষয়টি রহস্য এই ঘটনাপ্রবাহ যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনা, এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন দেশের মানুষ। বিষয়টির একটি যৌক্তিক সমাধান সম্ভব ছিল। তারা বিষয়টির একটি সম্মানজনক ও গ্রহণযোগ্য সমাধানে আন্তরিক ছিলেন বলে মনে হয় না। যেকোনোভাবে পাশ কাটানোর মানসিকতাই লক্ষ করা গেছে। কিন্তু এতে তারা সুবিধা করতে পারেনি, বরং বারবার লোকই হাসিয়েছেন। এটিও যে চলমান ছাত্র আন্দোলনের সফলতা, তা বুঝতে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাই তো বেরসিকরা বলছেন, ‘সেই তো নথ খসালি, তবে কেন লোক হাসালি?’

 

সৌজন্যে : নয়া দিগন্ত