আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন করা হবে: নজরুল ইসলাম

আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন করা হবে: নজরুল ইসলাম

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : ২০ দল থেকে দু’একটা দল ছিটকে যেতে পারে। যারা ছিটকে যাবে তারাই আস্তাকুঁড়ে ঘরে নিক্ষিপ্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় নজরুল ইসলাম খান বলেন, দুএকটা দল ছিটকে গেলেও কোনো অসুবিধা নেই। জাতীয় ঐক্য গঠন হয়েছে। সকলে মিলে আন্দোলনের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে আমাদের দাবি আদায় করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আন্দোলনকে শক্তিশালি করার জন্য আমরা জাতীয় ঐক্য গঠন করেছি। তাদের সাথে আমরাও আছি কারণ তাদের দাবির সাথে আমাদের সাথে দাবি মিলে গেছে। আজকে বাম দলগুলোর দাবির সাথেও মওল রয়েছে। এমনকি চরমনাই যেই দাবি করেছেন তার সাথেও মিল রয়েছে।

বিএনপির নিবন্ধন বাতিলের দাবি প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, একটি দলের নেতা বলেছেন বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করা হোক। যিনি বলেছেন, তাদেরকে এক সময় সন্ত্রাসী বলেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিদের হত্যা করেছে ওই দলটি। কিন্তু এখন তারা সন্ত্রাসীও নেই। কোন সমস্যাও নেই। কারণ তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। তিনি বলেন, ২১ আগস্টের প্রধান যে অভিযুক্ত মুফতি হান্নানকে বিএনপির আমলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সাথে যদি বিএনপি জড়িত থাকতো তাহলে তাকে বাঁচিয়ে রাখে নাকি?

২১ আগস্টের বিচার হোক এটা বিএনপিও চায়। কিন্তু এর সাথে যারা জড়িত প্রকৃত অপরাধী তাদের বিচার করা হোক এটা সকলেই চায়। সুবিচার করার যদি কখনো সুযোগ হয় তাহলে এর সঠিক বিচার করা হবে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের ঘায়েল করার জন্য এভাবে মামলা দেয়া হয়। বিশ্বের কোথাও এমন ইতিহাস আছে কিনা আমার জানা নেই। আমাদের একেক জন নেতার নামে ৪শ' অধিক মামলা দেয়া হয়েছে। এমনকি দলের মহাসচিবের বিরুদ্ধে ৮০টির বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের সমস্ত ব্যাংক লুট করা হয়েছে এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও লুট হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এসেছে বাংলাদেশের ৬লাখ ৬ হাজারেরও বেশি মানি লন্ডারিং হয়েছে কিন্তু তার কোনো তদন্ত এখন প্রযন্ত কেনো করা হলো না।

সম্মিলিত ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৫০০ঘ.)