২৪ অক্টোবর সিলেটে সমাবেশ

বাধা দিলে বাধবে লড়াই, তাই অনুমতি দিয়েছে: আ স ম রব

বাধা দিলে বাধবে লড়াই, তাই অনুমতি দিয়েছে: আ স ম রব

ঢাকা, ২১ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : সিলেটে আগামী বুধবার ঐক্যফ্রন্টের প্রথম জনসভায় নতুন বার্তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

সিলেটে জনসভার অনুমতি পাওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যায় মতিঝিলে এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সিলেটে সমাবেশের আগেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মুক্তির দাবি জানান তিনি।

রবিবার সন্ধ্যায় মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠক শেষে আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের বলেন, সিলেটের সমাবেশে নতুন বার্তা দেওয়া হবে। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন সিলেটের সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আর প্রধান বক্তা থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আবদুর রব বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে সিলেটে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের যাওয়ার ঘোষণাটা সরকার বুঝেছে। বাধা দিলে বাধবে লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা কোনো চাপের কাছে কোনো স্বৈরাচারী আচরণের কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাথা নত করবে না। এটা বুঝতে পেরে সরকার আমাদের অনুমতি দিয়েছে। তার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। আশা করি আগামী ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে যে সমাবেশ আছে, সেটারও অনুমতি দেবেন। রাজশাহীর জনসভা পরিবর্তন করেছি, ২৬ অক্টোবর সর্বস্তরের সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে আমরা বসব। হোটেল পূর্বাণীতে বেলা তিনটায় এটি অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহীতে ২ নভেম্বর জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে আমরা আরেকটা মতবিনিময় করতে যাচ্ছি শিক্ষকদের সঙ্গে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের সাত দফা দাবি লিখিত আকারে সরকারের কাছে তুলে ধরব। আমাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করে যেন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা না করে, এ জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এ ছাড়া আমরা বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করব।

বিএনপির নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আবদুর রব বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানাই। সিলেটের জনসভার আগে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাই। তাঁর মামলা প্রত্যাহার করে শর্তহীনভাবে মুক্তি দিতে হবে।

আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/২২৪০ঘ.)