দানব সরকারকে সরাতে ঐক্যবদ্ধভাবে আঘাত করতে হবে: মির্জা আলমগীর

দানব সরকারকে সরাতে ঐক্যবদ্ধভাবে আঘাত করতে হবে: মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ২৫ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘দাবি আদায় না হলে জনগণ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দাবি আদায় করে নেবে।’

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের 'শুভ বিজয়ার' শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগকে 'দানব' সরকারকে বলে আখ্যায়িত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই দানব সরকারকে সরাতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আঘাত করতে হবে। আজকে আমরা যে সংগ্রাম শুরু করেছি, এটা কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়, এটা দেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য।’

মির্জা আলমগীর বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করাই হবে আমাদের প্রত্যয়। আমি শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি অনুরোধ করবো, আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের কাছে চলে যান।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন দু’টি ব্যবসা ভালো পারে। একটি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা, আরেকটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ব্যবসা। এই দুটিকে বিক্রি করে তারা তাদের রাজনীতিকে ধরে রেখেছে। এটা প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। আসলে তারাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আসল শত্রু।’

আওয়ামী লীগের নেতারা হিন্দু, বৌদ্ধদের জমি দখল করছেন বলে অভিযোগ করে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আমার এলাকার সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল ৭০০ হিন্দু পরিবারের জমি এবং সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম ১ হাজার ৩০০ একর জমি দখল করেছেন।’

সাম্প্রতিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রসঙ্গ এনে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার নেই। সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ ভোট দিয়ে দেয়, মানুষ ভোট দিতে পারছে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।’

ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় যেতে চায় দাবি করে বিএপির মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেন, ‘এ জন্য তারা ইভিএম ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু ইভিএম ব্যবহার করা চলবে না।’

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির পল্লি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২৪৮ঘ.)