ঢাকা, অক্টোবর ২৭ (জাস্ট নিউজ): দেশের আটটি অঞ্চলে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেলা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট কারচুপির জন্য জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে সরকারি হুকুমে ইসি এই ইভিএম ব্যবহার করতে চায়- এমন অভিযোগ করে এই মেলা প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।
শনিবার খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা অঞ্চলে এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে প্রত্যাখাত ও বির্তকিত ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে। বিএনপি এসব ইভিএম মেলার প্রতিবাদ ও প্রত্যাখান করছে।
ইভিএম মেলাতে বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবে না বলেও জানান সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
ঐক্যফ্রন্টের নেতারা দেশে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি চায়- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এবং হবেও না। তার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
এ সময় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচন করবে বলেও জানান রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে প্রধানমন্ত্রীর বারোটা বাজবে। এই কারণেই তিনি একতরফা নির্বাচনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নানা ধরনের নীল নকশা আঁটছেন।
নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবশ্যই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি সরকারকে মানতে হবে।
সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনারও আহ্বান জানান রিজভী আহমেদ।
(জাস্ট নিউজ/এমআই/১২৪৫ঘ)
