রায় প্রত্যাখ্যান, মঙ্গলবার সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ

রায় প্রত্যাখ্যান, মঙ্গলবার সারাদেশে বিএনপির বিক্ষোভ

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া রায়কে ফরমায়েশি রায় দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। এই রায়ের প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশের মহানগর ও জেলা শহরগুলোতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে দলটি।

সোমবার নয়াপল্টনে রায় পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, এই মামলায় বিচারকার্য একেবারে একতরফাভাবে চলেছে। তিনি অসুস্থ হওয়ায় আদালতে আসতে পারেননি। ফলে কারাগারে তার জন্য আদালত স্থাপন করা হয়। তারপর তার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করেই বিচার কাজ চালিয়ে যায়। এখনও তিনি হাসপাতালে আছেন। অসুস্থ অবস্থায় রায় দেয়া আইনবিরোধী।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং তাকে রাজনীতি এবং আগামী নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে বেআইনিভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। তিনি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ ফরমায়েশি রায়। সরকার যা বলছেন আদালতে তার প্রতিফলিত হয়েছে। আমরা রায় প্রত্যাখ্যান করছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সরকার টিকে আছে। তারা আরেকটি অবৈধ ও একতরফা নির্বাচন দিতে চায়। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি দূরে রাখতে এই রায়। এই সরকার অত্যন্ত সচেতন ও পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। কিন্তু জনগণ তা মেনে নিবে না।

মির্জা আলমগীর বলেন, সরকারের প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চড়ে সারা দেশে ভোট চাচ্ছেন, অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রাখছে। এই অবস্থায় কখনো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না।

সংবাদ সম্মেলন থেকে এই রায়ের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক দেয় বিএনপি। আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সারা দেশের মহানগর জেলা শহরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ সবাইকে কর্মসূচিতে অংশ নিতে আহ্বান জানান ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীন আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৫০০ঘ.)