সংলাপে সমাধান না এলে দায় সরকারের : মির্জা আলমগীর

সংলাপে সমাধান না এলে দায় সরকারের : মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর (জাস্ট নিউজ) : সংলাপ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিষয়গুলো আলোচনা করে এর একটা সমাধানে আসা যাবে। আর যদি না আসে তাহলে এই যে বিষয়টা, আজ বাংলাদেশের যে অবস্থা, রাজনৈতিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এ সংকটের দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তাবে।’

বুধবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন মির্জা আলমগীর। জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ওই সভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সংলাপে সমাধান না হলে তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে, বলছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সংকটের সমাধান করার পর তফসিল ঘোষণারও দাবি জানিয়েছেন তারা। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব এবং তারা বিশ্বাস করেন এ সুযোগ কাজে লাগাবেন প্রধানমন্ত্রী।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংলাপে আমরা বিশ্বাস করি। আমরা সব সময় মনে করি জনগণ ক্ষমতার মালিক। মালিকরা নিজেদের মধ্যে আলাপ করবে দেশের স্বার্থ নিয়ে, দলীয় স্বার্থ না। আসুন এ ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ সংলাপের মধ্য দিয়ে ঐকমত্যে এসে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব। ঐক্যবদ্ধ জনতার জয় হবেই হবে।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করব যে প্রধানমন্ত্রী সত্যিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠার করার জন্য মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করার লক্ষ্যে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় সংলাপের মধ্য দিয়ে সে সুযোগের সদ্ব্যবহার তিনি করবেন।’

মির্জা আলমগীর আরো বলেন, ‘বিষয়গুলো আলোচনা করে এর একটা সমাধানে আসা যাবে, আসবেন তিনি। আর যদি না আসেন তাহলে এই যে বিষয়টা, আজ বাংলাদেশের যে অবস্থা, রাজনৈতিক যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এ সংকটের দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তাবে।’

সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা নিয়ে আলোচনা করবে। সাংবিধানিক উপায়েই একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বেরিয়ে আসবে বলেও মনে করেন ফ্রন্ট নেতারা।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আশা করি প্রধানমন্ত্রী দেশটাকে একটা কঠিন জায়গায় পৌঁছে দেবেন না। আজ বল সরকারের কোর্টে। সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন করতে চান সংলাপকে সফল করতে হবে, মুক্ত আলোচনা করতে হবে। কোনো রকম প্রি-কনডিশন দিয়ে আলোচনা হতে পারে না।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার যদি এ রকম জনগণকে দেখানোর চেষ্টা করে, তাদের বন্ধুদের দেখাবার চেষ্টা করে, যে কথা বলেই নির্বাচন শিডিউল ঘোষণা করেছি কিন্তু আমাদের সঙ্গে কথার কোনো নিষ্পত্তি হলো না। তার মানে তারা একটা ধাপ্পা দেবে। তারা যে ধাপ্পা দেবেই সে কথা দিয়ে আমি শুরু করতে চাই না। তবে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বলছি।’

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন নেতারা।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২১৬ঘ.)