এক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে যুক্ত হলেন আরো ৫ জন

এক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে যুক্ত হলেন আরো ৫ জন

ঢাকা, ১ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে জাতীয় এক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে যুক্ত হলেন আরো পাঁচজন; তারা হলেন, ড. আবদুল মঈন খান, মোকাব্বির খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, অ্যাডভোকেট জগলূল হায়দার আফ্রিক ও আ ও ম শফিউল্লাহ।

এর আগে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফেরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গণভবনে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছিল। ওই ১৬ জনের মধ্যে ছিলেন, বিএনপি থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাস। জেএসডি থেকে আ স ম আব্দুর রব, আব্দুল মালেক রতন ও তানিয়া রব। গণফোরাম থেকে মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী। নাগরিক ঐক্য থেকে থাকবেন মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম। ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, আ ব ম মোস্তফা আমিন এবং স্বতন্ত্র হিসেবে থাকবেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

জানা গেছে, সংলাপের সাফল্য নিয়ে সংশয় থাকলেও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়েই সরকার প্রধানের সাথে খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেবে ঐক্যফ্রন্ট। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যফ্রন্ট যে সাত দফা ঘোষণা করেছে, সেই সাত দফাই হবে আলোচনার মূল ভিত্তি। এর মধ্যে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব সংবিধানের ভেতর থেকেই লিখিতভাবে তুলে ধরবে ঐক্যফ্রন্ট।

ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফার মধ্যে রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার, তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দেয়া, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপে সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা বাদ দেয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসি মতাসহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ নিশ্চিত করা।

সংলাপে নিজেদের অবস্থান চূড়ান্ত করতে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা গত দুই দিন একাধিক বৈঠক করেছেন। জানা গেছে, বৈঠকে সাত দফা এবং কেন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রয়োজন তা লিখিতভাবে বিস্তারিত তুলে ধরবেন ড. কামাল হোসেন।

জানা গেছে, ঐক্যফ্রন্টের কোনো দফা সরকারি দল আমলে না আনলে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে রাজধানীর জনসভা থেকে আলটিমেটাম দিয়ে রাজপথ বেছে নেয়া হতে পারে।

ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র এক নেতা বলেছেন, সংলাপের কথা বলে ক্ষমতাসীনেরা যদি সময়ক্ষেপণের কৌশল নেয়, তাহলে পাল্টা কৌশল নেবে ঐক্যফ্রন্ট। সেক্ষেত্রে রাজপথের কর্মসূচির পাশাপাশি সংলাপও চলতে পারে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সংলাপ, আন্দোলন ও নির্বাচন একসাথে চলবে। তিনি বলেন, এতদিন যে কৌশল নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি সেটি ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকার সংলাপ করতে সম্মত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীরা সংলাপ নাকচ করলেও, এখন তারা দেশের মানুষের মনের কথা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৮৪৬ঘ.)