ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবেও সরকার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে: মান্না

ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবেও সরকার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে: মান্না

ঢাকা, ৮ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ) : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা অনুরোধ করেছিলাম সংলাপ চলা অবস্থায় যেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তারা তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে অনড় আছে। হাতে এতো সময় থাকা সত্বেও কেন তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে? আর এটি থেকেই আমরা মনে করছি আমাদের হিসাব করে পা রাখাই ভালো। এবার সংলাপেও আমরা ৭ দফা নিয়ে আলোচনা করেছি।

বুধবার সন্ধ্যায় একটি টিভি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, সংবিধানের মধ্যে থেকেও যে একটা নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে, এটা আমরা বারবার বুঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার দলীয় যারা ছিলেন তারা সেটা মানতে নারাজ। আমাদের প্রস্তাব ছিল সব রাজনৈতিক দল মিলে যেন একটা নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হয়। কারণ এর আগেও এটির নজির ছিলো।

বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির কথায় তারা বলেন, মামলার বিষয় পুরোটাই আদালতের বিষয়। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই।

মান্না বলেন, সরকার আমাদের মুখ্য বিষয় গুলোতে একমত হতে পারছে না। আর এজন্য আমরা আরো সময় চেয়েছি আলোচনার জন্য। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনই আমার পক্ষে আলোচনা করা সম্ভব নয়। তবে আলোচনার জন্য আমার দুয়ার খোলা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন তফসিল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হবে না, দলীয় পতাকা থাকবে। তারা কোন ধরনের সরকারি ফ্যাসিলিটি এনজয় করবে না। সব কিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে। সরকারের এসব কথায় আমরা পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারিনি। তারা এক মাসের মধ্যে অসংখ্য মামলা দিয়েছে। দৃশ্যত সরকার নমনীয় মনে হলেও অন্তরে তারা কঠোর।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব নাকোচের প্রশ্নে মান্না বলেন, দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে সরকার এ প্রস্তাবে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছে। তারা বলেন, আপনারা কি অন্ধকারের শক্তি আনতে চান। আপনারা কি নির্বাচন বানচাল করতে চান।

মান্না বলেন, সংবিধানে আছে সংসদ বাতিল করে নতুন করে সরকার গঠন করার প্রবিধানও আছে। কিন্তু এবিষয়ে তারা কথা বলার কোনো সুযোগই দেননি। আর এটা আলোচনার করার জন্যই আমরা নতুন করে আবার সময় চেয়েছি। আমরা বলছি এখনও তফসিল ঘোষণা কয়েকদিন পেছালে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সকল বিষয়ে তারা একটা নেতিবাচক আগ্রহ দেখিয়েছেন।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৩৪৪ঘ.)