৫ জানুয়ারি

সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকার দ্বৈতনীতি গ্রহণ করেছে : মির্জা আলমগীর

সমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকার দ্বৈতনীতি গ্রহণ করেছে : মির্জা আলমগীর

ঢাকা, ৪ জানুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, রাজধানীতে জনসমাবেশের অনুমতি নিয়ে সরকার ‘দ্বৈতনীতি’ অনুসরণ করেছে। তিনি বৃহস্পতিবার এক সভায় বলেন, আগামীকাল গণতন্ত্র হত্যা দিবস। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নতুন করে হত্যা করা হয়েছিলো। এদিনে আমাদেরকে পুলিশ সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি, নাকচ করে দিয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে জনসভা করার অনুমতি দিয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন।

বিএনপি মহাসচিব ৫ জানুয়ারিকে ‘কলঙ্কিত অধ্যায়’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ওইদিন সম্পূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান করে তারা দেশের একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করেছে।

রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে গ্র্যাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচনে ‘জাতীয়তাবাদী প্যানেল’ পরিচিত উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানে প্যানেলের ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এই সভা হয়।

এবারের সিনেট নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন- অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার (ব্যালট-২), ড. উম্মে কুলসুম রওজাতুর রোম্মান (ব্যালট-৭), এ কে এম ফজলুল হক মিলন (ব্যালট- ১১), এ টি এম আবদুল বারী ড্যানি (ব্যালট-১৩), অধ্যাপক এ বি এম ফজলুর করীম (ব্যালট-১৪), এ বি এম মোশাররফ হোসেন (ব্যালট-১৬), ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম (ব্যালট-২৩), কে এম আমিরুজ্জামান শিমুল (ব্যালট-২৫), ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান (ব্যালট-২৭), ড. জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম (ব্যালট-২৯), অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার (ব্যালট-৩১), ডা. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস (ব্যালট-৩৫), ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার (ব্যালট-৩৬), ড. মোহাম্মদ আবদুর রব (ব্যালট-৪৩), ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী (ব্যালট-৪৬), ডা. মোহাম্মদ রফিকুল কবির লাবু (ব্যালট-৪৮), মো. আশরাফুল হক (ব্যালট-৫৭), অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার (ব্যালট-৬১), ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (ব্যালট-৬২), ড. মো শরীফুল ইসলাম দুলু (ব্যালট-৬৫), সাইফুল ইসলাম ফিরোজ (ব্যালট-৬৬), অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া (ব্যালট-৬৭), মো. সেলিমুজ্জামান মোল্যা (ব্যালট-৬৮), শওকত মাহমুদ (ব্যালট-৭৩) ও ড. সদরুল আমিন (ব্যালট-৭৭)।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান, গ্র্যাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম, ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্র নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ড. লুৎফর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৬ ও ১৩ জানুয়ারি সারাদেশে এবং ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।

সিনেট নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে সিনেট নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে রাষ্ট্রে গণতন্ত্র নেই, সেখানে সিনেট নির্বাচন কতখানি সুষ্ঠু হবে তাতে সন্দেহ আছে। গতবারের অভিজ্ঞতা মনে আছে, প্রার্থীদের কেন্দ্রে যেতে দিতে বাধা দেয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী প্যানেলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার আহবান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

(জাস্ট নিউজ/একে/২২১০ঘ.)